পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ( পূর্বাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/৭০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম অধ্যায় । ] ইংরেজ আমলের প্রথম শতাব্দী । । 切ア● জন্মিত । শাশুড়ীকে তাহারা মা হইতেও অধিক ভক্তি করিত । স্বামীকে দেবতার মত, শ্বশুর ও ভাস্থরকে গুরুর ন্যায় দেখিত । এই সময়ে কেহ কেহ সহমরণ যাইত বলিয়া জানা যায় । তাহারা স্বামীর পাতে থাইত ও স্বামীর শয্যাতে উঠিতে ও শয্যা ত্যাগ করিতে প্রতিদিনই স্বামীর পাদবন্দন৷ করিত । ননদ ভাজে ঝগড়া চিরপ্রসিদ্ধ ছিল । অসতীর ভয়ঙ্কর লাঞ্ছনা ছিল, ধরা পড়িলে চুল কাটিয়া গালে চূৰ্ণ কালী দিয়া কুলের বাহির করিয়া দিত । অসতী হইবার সুযোগও বড়ই কম ছিল । মেয়ের মোট শাটি পরাই ভদ্রতাজনক ও সন্ত্রমস্বচক মনে করিত । মিহিৰুতির চল ছিল না, চাদর ব্যবহার্ষ্য । ছিল । কুলের অলঙ্কার, শাড়ী ও শাল পুরুষানুক্রমে ব্যবহার করা হইত । মেয়ের সীমস্তে ও ললাটে সধবার চিহ্ন সিন্দুরের বড় ফোটা ও হাতে সেরভর ওজনে বড় বড় ধবল শঙ্খ ধারণ করিত । উহ। ‘ অসভ্যতার চিহ্ন ? বিবেচিত হইত না । এক এক জোড়া শঙ্খ শাশুড়ী হইতে পুত্রবধূ পৌত্রবধূ পর্যন্ত, এমন কি ভাঙ্গিয়া না যাওয়া পৰ্য্যন্ত অনেক পুরুষে চলিত। স্ত্রীলোকেরা মাথায় টাকা; কাণে ঠেক, কানফল, কড়ি, নাকে নথ ও বেসর; গলায় মালা, হৰ্ণসলি, পাঁচলহরী বা সাতলহরী ব্যবহার করিতেন । হাতে শঙ্খ, কঙ্কণ, ৰলয়; বাহুতে ৰাজু বন্ধ, বাজু পায়ে বেকি, খাড়, ঘুঙ্গুর ও পাজেব পরিত। মধ্যবিত্ত গৃহস্থের মেয়ের রজত অলঙ্কারই বেশী পরিত ; দুই চারিপদ স্বর্ণালঙ্কারও থাকিত । ধনীদের মেয়েরা ও কোমরের নীচে স্বর্ণালঙ্কার ব্যবহার করিত না । অলঙ্কারের কারুকার্য্য অপেক্ষা ওজনের গুরুত্বই গৌরবের কারণ হইত। যিনি যত বেশী ওজনের অলঙ্কার ব্যবহার করিতেন, তিনি তত অবস্থাপন্ন ধনীর মেম্বে ৰ৷ গৃহিনী বলিয়৷ বিবেচিত হইতেন। স্ত্রীলোকদিগকে নয়নে কজল, পায়ে আলতা ব্যবহার করিতে হইত। শাড়ীর মধ্যে মেঘডম্বর, চন্দ্রকোণ, রাসমণ্ডল প্রভৃতি প্রধান ছিল ; কছিদ, ছয়মু ও গণপিছ প্রভৃতির বহুল প্রচলন ছিল ; বিবাহের কন্যাকে লেটের চাদর দেওয়া যাহত । স্ত্রীলোকেরা বড়ই লজ্জাশীল৷ ছিল, কিন্তু গর্ভাধানের সংস্কার উংসবের ধামালি গানে তাহারা অশ্লীলতার শ্ৰাদ্ধ করিতেন। শ্ৰীহট্টে বাসর গৃহের উৎপাত কোন দিনই বেশী ছিল না। প্ৰবাহাদিতে স্ত্রী আচারের বিশেষ ঘটা ছিল। স্ত্রীলোকেরা কাজকর্শ্বে দক্ষ ।