পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ( পূর্বাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/৭৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উপসংহার-কাছাড়ের কথা । } Y } বৎসর রাজত্ব করেন। মধুচন্দ্র মামে তাহার দূর সম্পর্কিত এক ভ্রাতা তাহাকে নিহত করিয়া সিংহাসনারোহণ করেন। কিন্তু মধুচন্দ্রেরও ভাগ্য বড় স্বপ্রসন্ন ছিল না। তিনিও নিজ ভ্রাতা কর্তৃক উত্যক্ত হন, প্রকৃতই ১৮৯৯ কাছাড় রাজের খৃষ্টাব্দে মণিপুরে বিষম অন্তৰ্ব্বিবাদ উপস্থিত সহায়তা | হইয়াছিল। মধুচন্দ্র (মধুসিংহ) স্বীয় ভ্রাতা মারজিং কর্তৃক রাজ্যচ্যুত হইয়া, কৃষ্ণচন্দ্রেব আশ্রয় গ্রহণ করেন । * কৃষ্ণচন্দ্র e • • শত সৈন্য সহ তাহার সাহায্য করিয়াছিলেন ; কিন্তু যুদ্ধক্ষেত্রে মধুসিংহ প্রাণত্যাগ করেন। তৎপর ব্রহ্মরাজ মণিপুর আক্রমণ করিয়াছিলেন, এবং তখন মারজিংকে বাধ্য হইয়া কিয়ংক’লের জন্ত মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্রের আশ্রয়ে কাছাড়ে আসিয়া বাস করিতে হইয়াছিল। এই সময়ে কাছাড়াধিপতির ভ্রাতা গোবিন্দ চন্দ্র অতিথি মারজিতের একটা মনোহৰ অশ্ব বলক্রমে গ্রহণ করিয়াছিলেন। ৭ এ ঘটনার তিন বৎসর পরে ১৮১৩ খৃষ্টাব্দে কৃষ্ণচন্দ্র মৃত্যুমুখে পতিত হন। কৃষ্ণ চন্দ্রের মৃত্যুর পর গোবিন্দ চন্দ্রই সিংহাসনারোহন করেন। গোবিন্দ মহারাজ চন্দ্র সিংহাসনারোহণ করিয়া রাজ্যের বিধি ব্যবস্থা স্থপৃঙ্খলাবদ্ধ গোবিন্দ চন্দ্র করেন । এই সময়ে তিনি কাছাড়ের আইন সংস্কার পূর্বক নূতন বিধি প্ৰবৰ্ত্তিত করেন। ১৮১৭ খৃষ্টাব্দে সঙ্কলিত তৎপ্রবর্তিত দণ্ডবিধি ইত্যাদি বিষয়ক কয়েকটি আইনের মূল গ্রন্থ পাওয়া গিয়াছে, তাহাতে জানা যায় যে,— দণ্ডের মধ্যে অর্থ দণ্ডই অধিক ছিল । ব্রাহ্মণকে প্রায়ই দওভোগ করিতে হইত না, পক্ষান্তরে ব্রাহ্মণোংপীড়নকারী গুরু দণ্ডে দণ্ডিত হইত। হস্তদ্বারা যে ব্রাহ্মণকে আঘাত করিত, তাহার হস্ত ছেদন করা যাইত । ব্রহ্মণের একাসনে উপবেশন অপরাধ বলিয়া গণ্য হইত এবং নিতম্বের মাংশছেদনই ইহার দণ্ড ছিল । স্বর্ণ রত্নাদি বিষয়ে বঞ্চনা করিলে নাসিকা ও হস্তছেদনই দও ছিল। চুরের প্রতি গুরু দণ্ডের ব্যবস্থা ছিল, ঘোড়া, হাতী, গরু প্রভৃতি

  • Huntor's Statistical Accounts of Assam. WOL. II. (Sylhet) P. 120 + ঐযুক্ত কৈলাস চন্দ্র সিংহ প্রণীত ত্রিপুৱাব ইতিহাস ৩য় ভাঃ ১ম অঃ ২৬৩ পৃষ্ঠ ।