পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ( পূর্বাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষষ্ঠ অধ্যায়—ইতর প্রাণী। শ্ৰীহট্টের জঙ্গলে প্রায় সৰ্ব্বপ্রকার হিংস্র জন্তুই আছে। আরণ্য জন্তুর মধ্যে সৰ্ব্বাগ্রে শ্ৰীহট্টে হস্তীর বিষয় উল্লেখ করা কর্তব্য। । হস্তীরা দলবদ্ধ ভাবে বিচরণ করে। প্রতি দলেই চরাল কুনকী নামে কথিত এক একটি বৃহৎকায় হস্তিনী এবং গুণ্ড নামে श्डौ । কথিত এক একটি দাতাল হস্তী থাকে। ইহারাই দলপতি স্বরূপ। এক স্থান হইতে স্থানান্তরে যাইতে চরালকুনকী সৰ্ব্বাগ্রে ও গুণ্ড সৰ্ব্ব পশ্চাতে থাকে। সাধারণতঃ হস্তিনীদিগকে কুনকী বলা হয়। দস্তবিহীন হস্তীর নাম মাক্না । মধ্যে মধ্যে যুথভ্রষ্ট হস্তীও প্রাপ্ত হওয়া যায়, ইহাদের ক্ষুদ্র দলে হস্তিনীরা থাকে না ; এইরূপ দলে কখন কখন ৭৮টি মানা ও গুণ্ড হস্তী মাত্র থাকে। গুণ্ডার দল নিৰ্ভীক এবং শিকারীরা সহজে ইহাদিগকে ধৃত করিতে পারে না। দুই ভিন্ন দলে পরস্পর দেখা হইলে কখন কখন উভয় দলের দলপতি ७७ श्खैौ भ८५ा दिवांल ट्रैर्षिघ्न थां८क ।। ७क लएलद्र शाक्षT७ कथंन कथंन বলবান কোন মাক্‌না, দলপতি গুণ্ডার প্রতিদ্বন্দ্বী হইলে উভয়ে সংগ্রাম উপস্থিত হয়। ইহাতে যে পরাজিত হয়, সে দল ছাড়িয়া পলায়ন করে। এই রূপ যুথভ্রষ্ট কয়েকটি একত্র মিলিয়া গুণ্ডার দল’ হয়। বর্ষাকালে হস্তীযূথ দুর্গম উচ্চতর পর্বতে চলিয়া যায়। শীতাগমে নিয়প্রদেশে প্রত্যাগমন করে । এক প্রান্তরের বনজঙ্গল ভক্ষিত হইলে সমস্ত যুথ অন্য প্রান্তরে চলিয়া যায়। গমনকালে অগ্রবর্তীগণ পথাবরোধক বৃক্ষশাখা ভাঙ্গিয়া, লতা ছিন্ন করিয়া সুন্দর পথ প্রস্তুত করিয়া যায়। এইরূপ পথকে দোয়াল’ বলে। দুর্গম পাহাড়ে হস্তীর দোয়ালই বন কামলাদের চলাচলের প্রধান রাস্তারূপে গণ্য হয়। বন্ত হস্তীর চলাচলের একটি কায়দা আছে, ইহার এক পাড়ায় যায় ; . অর্থাৎ অগ্রবর্তিনী চরাল কুম্বকীর পদচিহ্নের উপর পদ বিক্ষেপ করিয়া দলের