পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ( পূর্বাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ইতর প্রাণী । ] ša बैशमेव इउित्ख। &S 劇 . . . . . . . oo - . . . . . . প্রস্তুত করিতে থাকে । যাহারা প্রহরায় থাকে, তাহাদের সন্মুখে অগ্নিকুণ্ড প্ৰজলিত রহে । এই খোয়াড়ের বহির্ভাগে বৃক্ষের ঠেকান দেওয়া হয়, যেন ভিতর হইতে ঠেলিয়া ধরিলে কোন অনিষ্ট না ঘটে । উক্ত খোয়াড়ের নাম “গড়।” যখন যে স্থানে হস্তীয,থকে, ঘেরাও করিয়া, অগ্নি জালিয়া আবদ্ধ রাখা হয়, তাহার নাম “পাতবেড়।” এই পাতবেড়ের মধ্যেই গড় বান্ধা হয়। গড়ের মধ্যে একটি ছড়া থাকা চাই ; হস্তীরা আবশ্বক মত তাহার জল পান করিবে। পাতবেড়ের পেছন দিকে অর্থাৎ হস্তী যে দিকে থাকে, সেই দিকে গড়ের মুখ রাখা হয় । মুখ হইতে দুই বিপরীত দিকে দুইটা বাহু বিস্তৃত করা হয়, ইহার নাম “পাইরালা।" গড়ের মুখ আবখ্যক মত বন্ধ করিবার জন্য বড় বড় বৃক্ষ নিৰ্ম্মিত দুয়ার কৌশল ক্রমে রক্ষা করা হয়। পইরালার সম্মুখে ( এবং দ্বার দেশেও ) শুষ্ক বংশ পত্রাদি রাখিয়া দেয়। এব্যতীত । গড়ের ভিতরে ৭৮ হাত বিস্তার ও প্রায় দুই হাত গভীর এক পরিখা (খালী) খনন করা হয় ।” § | গড় বাধনের কার্য্য শেষ হইলে, যথা নির্দিষ্ট সময় পাতবেড়ের পশ্চাৎ দিক হইতে চিৎকার ধ্বনি, বন্দুকের আওয়াজ, ও ঢাকের শব্দে তুমুল কোলাহল করিয়া, হস্তীয় থকে বিতাড়িত করে। হস্তীরা সম্মুখ দিক নিরাপদ ভাবিয়া গড়ের দিকে বিদ্যুৎগতিতে ধাবিত হয় । সমস্ত হস্তী পইরালার সীমায় যাওয়া মাত্রই তাহদের পশ্চাতে, পূর্ব রক্ষিত শুষ্ক পত্র সমূহে অগ্নিদান করা হয়, অগ্নি দৃষ্ট্রে তাহারা অধিকতর ভীত হইয়া গড়ে প্রবেশ করে। দলের শেষ হস্তীটি দুয়ারের সীমা পার হওয়া মাত্র, সুকৌশল রক্ষিত কপাট বা বৃক্ষ সমূহ দ্বারা পথ বন্ধ করিয়া দেওয়া হয় ও এই স্থানেও শুষ্ক পত্র রক্ষিত থাকিলে তাহাতে অগ্নি সংযোগ করা হয়। 啤 সাধারণতঃ হস্তীরা পশ্চাৎদিকে দৃষ্টি না করিয়া পলায়ন, জন্য সম্মুখে ধারিত হয়, কিন্তু একটু অগ্রসর হইয়াই শুষ্ক পরিখা দৃষ্ট্রে ভীত ও পশ্চাৎ পদ হয় । কোন কোন দুরন্ত হস্তী পরিখা পার হইয়া, গড় ঠেলিয়া ফেলিয়া বাহির হইতে চেষ্টা পায় ; কিন্তু গড়ের বহির্ভাগ হইতে ঠেকান থাকায়