পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ( পূর্বাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ইতর প্রাণী । ] শ্ৰীহট্টের ইতিবৃত্ত । )ماوا( তাহার কাছে লইয়া যায় । হস্তিণী দেখিলেই মদমত্ত হস্তী তাহার কাছে আসে, হস্তিণীগণ তখন তাহার মুখের দিকে পাছ রাখিয়া দাড়ায়, প্রাণান্তেও সম্মুখে যায় না ; গেলে জীবন রক্ষা কঠিন হইয় পড়ে। একটি হস্তিণী সৰ্ব্ব পশ্চাৎ থাকে, তাহার উপরে উঠিবার জন্য রজ্জ্ব নিৰ্ম্মিত সিড়ি রহে। মাহত অতি সতর্ক ভাবে বন্য হস্তীর পায়ে রজ্জ্ব বাধিয়া এই সিড়ির সাহায্য হাতীর উপরে উঠিয়া যায়। এই সময়ে হস্তিণীগণ গুণ্ড দ্বারা স্পর্শাদি করিয়া মদমত্ত হস্তীকে ভুলাইয়া রাখে। শ্ৰীহট্টে পরতালা শিকারের প্রথা প্রচলিত নাই, খেদা করিয়াই প্রধাণতঃ হাতী ধরা হয়। হস্তী ব্যতীত শ্ৰীহট্টের জঙ্গলে বড় বাঘ ( Royal Tiger ), চিতা বাঘ ( Leopard ), খুপিবাঘ ( wolf), প্রভৃতি হিংস্র জন্তু প্রায়ই পাওয়া যায়। দূরবর্তী জঙ্গলে গণ্ডার ও কৃষ্ণভল্লুক আছে। পূৰ্ব্বে শ্ৰীহট্ট জিলার দক্ষিণাংশে গণ্ডারের পাল বিচরণ করিত, বর্তমানে লঙ্গাই ও শিংলা উজানের দুরবর্তী জঙ্গলেই হস্তীর্য থের ন্যায়, তাহাদিগকে পালে পালে ভ্রমণ করিতে দেখা যায় । 譬 প্রায় চল্লিশবর্ষ পূর্বেই জঙ্গল সন্নিহিত পল্লিতে বন্য মহিষের উপদ্রব ছিল, লোকে বন্য মহিষ শিকার করিয়া আত্মরক্ষা করিত ; কিন্তু এখন আর বন্য মহিষের নাম শুনা যায় না। দুর্গম পাহাড়ে এখনও মহিষ প্রাপ্ত হওয়া যায় । মেটুনা নামধেয় বন্যগো শ্ৰীহট্টের জঙ্গলে আছে। কুকি জাতি উহ পোধিয়া থাকে। জয়ন্তীয়ার জঙ্গলে গবয় (বন গরু) আছে । হরিণের মধ্যে “শিঙ্গাল” ও “খাটল বা আমড়াখাউরী” নামক দুই জাতি হরিণই সচরাচর দৃষ্ট হয়। শিঙ্গালের বৃহৎ শৃঙ্গ হয় ও ইহারা আকারে গরুর মত বৃহৎ । খাটুলীর আকার ছাগলেরই মত, লোহিত ও কৃষ্ণভেদে ইহার দুই প্রকার । জঙ্গল সন্নিহিত গ্রামাদিতে বন্য শূকরের উৎপাত আছে ; তত্তং স্থানে লোকে পাহারা দিয়৷ শস্ত্যাদি রক্ষা করে । এতদ্ব্যতীত লজ্জাবতীবিড়াল, বনবিড়াল, কাষ্ঠবিড়াল, উদবিড়াল, द्धान्ग्रांमृ] छजु |