পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ( পূর্বাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ইতর প্রাণী। ] শ্ৰীহট্টের ইতিবৃত্ত । ( পক্ষী । ) শ্ৰীহট্ট জিলায় নানাজাতীয় পক্ষী দেখিতে পাওয়া যায় । মনুষ্য ভাষা অমুকারী পক্ষীর মধ্যে, শ্ৰীহট্ট জিলায় ময়না, তোতা (শুক), ও শারি (শালিক) প্রভৃতি প্রধান । ময়নার কথা ধীর গম্ভীর ও স্পষ্ট । ময়নার মধ্যে “সোণাকাণি” অর্থাৎ স্বর্ণকর্ণবিশিষ্ট ময়নাই শ্রেষ্ঠ । বিঙ্গরাজ ( বিহঙ্গরাজ ) নামক বিখ্যাত পক্ষী শ্ৰীহট্টেই প্রাপ্ত হওয়া যায়। আইন-ই-আকবরি প্রভৃতি গ্রন্থে শ্ৰীহট্টের বিহঙ্গরাজ পক্ষীর মুখ্যাতি লিখিত আছে। ইহার কৃষ্ণবর্ণ এবং দীর্ঘ লাঙ্গুলবিশিষ্ট। ইহাদের বর্ণ বৈচিত্র না থাকিলেও স্বর বৈচিত্রের জন্য তাহারা বিখ্যাত। যখন ইহাদের সুমিষ্ট স্বর লহরীতে কানন প্রতিধ্বনিত হইতে থাকে, তখন প্রাণীমাত্রই মুগ্ধ হইয়৷ থাকে। ইহার বিবিধ জন্তুর স্বর অবিকল অনুকরণ করিতে পারে বলিয়াই “হরবোলা” নামেও আখ্যাত হয় । ইহাদের মিষ্ট স্বরে আকৃষ্ট হইয়া, অন্যান্য বন্য পক্ষীরা ঝাকে ঝাকে ইহুাদের সঙ্গে থাকে ; এই জন্যই ইহাদিগকে ‘বিহঙ্গরাজ’ বলা হয়। ইহারা মাংসাপী পক্ষী ; ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বিবিধ পক্ষী ইহাদের সঙ্গে সঙ্গে ফিরাতে, তাহাদের আহারের অভাব হয় না ; আবশুক হইলে অপর পক্ষী ধরিয়া, তাহার মাংস ভক্ষণ করে । শেরগঞ্জ নামক পক্ষীর বিষয়ও আইন-ই-আকবরি ও রিয়াজ-উস-সালাতিন প্রভৃতি গ্রন্থে পাওয়া যায়। শেরগঞ্জ নীলবর্ণবিশিষ্ট এবং দেখিতে সুন্দর, ইহাদের স্বরও সুমিষ্ট। বিহঙ্গরাজ ও শেরগঞ্জ শ্রীহট্টের ভিন্ন ভিন্ন স্থানের জঙ্গলে দেখিতে পাওয়া যায়। are undersized, half starved, and not unfrequently diseased. * * * No attention is paid breeding, cows, bulls alike excercise their reproductive powers at the earliest possible moment, and continue to do so without intermission. The parents of the calf are often close relations and no attempt is ever made to effect any improvement in stock.” Assam District Gazetteers vol. II (Sylhet) chap IV p 132. গোজাতির অবনতির মূল কোথায়, উদ্ধত বিবরণে তাহা ব্যক্ত আছে, এ বিষয়ে সম o: অবহেলা অনুষ্ঠিত হইলে গে-কুল যে নির্মল প্রায় না হইবে, তাহা বলা যাইতে नी !