পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ( পূর্বাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ইতর প্রাণী । ] ॐीहटप्लेब्र हेडिबुख । Wool পূৰ্ব্বে এদেশে ছিল না। দিল্লীনগরে পীর নেজামউদ্দীন, শাহজলালকে এক জোড়া কাজল (নীল) রঙ্গের কপোত উপহার দেন। শাহজলাল এই ষোড়া কবুতর সহ শ্ৰীহট্টে আগমন করেন, ইহাদেরই বংশধর জলালী কবুতর নামে খ্যাত। ইহাদিগকে হিন্দু মোসলমান কেহই হিংসা করে না। পালিত পক্ষীর মধ্যে—রাজহংস, পাতিহাস, কবুতর ও কুকুটই দৃষ্ট হয়। ময়না, তোতা প্রভৃতি বন্য পক্ষী পোষ মানিলেও পিঞ্জরাবদ্ধ ভাবে রাখিতে হয় । ( মৎস্যাদি । ) মৎস্তের মধ্যে রউ (রোহিত), বাউ (কাতল), চিতল, বোয়াল, ঘাঘট, শউল প্রভৃতি প্রধান ও সৰ্ব্বত্রই প্রচুর পরিমাণে প্রাপ্ত হওয়া যায়। পাৰ্ব্বত্য নদীর জঙ্গলাংশে মহাশউল ও পালান নামে দুই জাতীয় মৎস্ত মিলে। মহাশউলের আকার দীর্ঘাকৃতি রোহিতের ন্যায়, এবং থাইতে সুস্বাদু ও মৃদ্ধ ( মোলায়েম ) ; আসামের শিক্ষাবিভাগের ডিরেক্টর উইলসন সাহেব, লাউড়ের পণাতীর্থে এক সময় একটা মহাশউলধৃত করেন, উহ ওজনে একমণ পয়ত্রিশ সের হইয়াছিল । শউল জাতীয় পীপলা নামক মৎস্তও পাহাড়ের নদীতে পাওয়া যায়। সুরমা, কুশিয়ারা, বিবিয়ানা, ধলেশ্বর প্রভৃতি নদীতে প্রতি বৎসর অনেক ইলিশ মৎস্য ধৃত হয় । তদ্ব্যতীত ঘনিয়া, গজার, শউল, কানল, পাবিয়া, বাচ, বাইন, মাগুর, কই, চেঙ্গ, চিংড়ি (ইচা , রাণী, টেংরা, পুঠি প্রভৃতি বহু প্রকার মৎস্ত্য পাওয়া যায় । ঘাঘট জাতীয় “বাঘমাছ” আকারে অতি বৃহৎ হইয়া থাকে। আট জনের কম লোকে বহন করিয়া নিতে পারে না, এরূপ বৃহৎ আকারের বাঘমাছও ধৃত হয়। বাঘমাছ, গজার, নানিন্দ ও শিঙ্গী প্রভৃতি মৎস্ত হিন্দুগণ আহার করেন না । সুনামগঞ্জ সবডিভিশনেই প্রতি বৎসর সর্বপেক্ষা অধিক মৎস্ত ধৃত হয়। মৎস্ত ব্যতীত প্রতিবর্ষে অনেক কচ্ছপ ও কমট ধৃত হইয়া থাকে। “বাস্কা” নামীয় কচ্ছপের অাদর অধিক। মোসলমানগণ কচ্ছপ স্পর্শও করে না।