পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত (উত্তরাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/১৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্ৰাহ্মণ-বিভাগ প্রথম অধ্যায় ছরচিরি ও বরমচালের বাৎস্য গোত্রীয় ব্রাহ্মণ বিবরণ নামতত্ত্ব এই সবডিভিশনের নাম দক্ষিণ শ্রীহট্ট, ইহা উত্তর শ্রীহট্ট সবডিভিশনের বা সদরের ঠিক দক্ষিণে অবস্থিত। চৌয়ালিশ পরগণাবাসী মৌলবী শাহ মোস্তাফা এক অতি সম্মানীত ব্যক্তি ছিলেন। তাহার পুত্র মৌলবী কুদরত উল্লা সাহেব মোন্সেফ নিযুক্ত হইয়া অনেক দিন কাৰ্য্য করেন। তিনি একটি বাজার বসাইয়া ছিলেন, ঐ বাজারটা মৌলবী কুদরতউল্লার স্থাপিত বলিয়া মৌলবী-বাজার বলিয়া খ্যাত হয়। পরে ১৮৮২ খৃষ্টাব্দে ঐ অঞ্চলে নূতন সবডিভিশন স্থাপিত হওয়া কালে উক্ত বাজারেই শহরের প্রতিষ্ঠা হয়। এই জন্য ইহা মৌলবী-বাজার সবডিভিশন নামেও কথিত হইয়া থাকে । এই সবডিভিশনের উত্তরে উত্তর শ্রীহট্ট, পূৰ্ব্বে করিমগঞ্জ সবডিভিশন ও পাৰ্ব্বত্য ত্রিপুরা, দক্ষিণে পাৰ্ব্বত্য ত্রিপুরা এবং পশ্চিমে হবিগঞ্জ সবডিভিশন । এই সবডিভিশনে ২৬টী পরগণা আছে, তাহার নাম ও জনসংখ্যাদি প্রথম ভাগে উক্ত হইয়াছে। দক্ষিণ শ্রীহট্টের পূৰ্ব্বে ইটা রাজ্য ছিল, পরে ইহা এক বৃহৎ পরগণা রূপে গণ্য হয়; শমশেরনগর ও আলী-নগর ইটা পরগণা ভুক্ত ছিল এই দুই পরগণা ইটার খারিজ। অধিবাসিবর্গ মধ্যে যে যে বংশের কাহিনী দ্বিতীয় ভাগে বর্ণিত হয় নাই, এস্থলে তাহাই লিপিবদ্ধ হইবে । পরগণা-ছয়চিরি শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত প্রথম ভাগে আমরা সাম্প্রদায়িক বিপ্রবর্গের প্রসঙ্গে ইটার বর্ণনা করিয়াছি, ইটা প্রভৃতি স্থানেই সাম্প্রদায়িক গণের অধিকাংশের বাস, তাহার কারণ সাম্প্রদায়িক ব্রাহ্মণনৃপতি সুবিদনারায়ণ ও তাহার পূৰ্ব্ব পুরুষগণ ইটাবাসী ছিলেন ১ “সাম্প্রদায়িক শব্দটি তাহার সময় হইতে প্রধানতঃ (দশ) গৌত্রীয় ব্রাহ্মণের প্রতি"২ প্রযোজিত হইয়া আসিতেছে। রাজভ্ৰাতৃ বগের পলায়ন শ্রীহট্টের ইতিবৃত্তের পূৰ্ব্বাংশে বলা গিয়াছে যে বাৎস্য গোত্রীয় সুবিদ নারায়ণের রাজ্য বিজিত হইলে ধৰ্ম্মনারায়ণ, রামনারায়ণ ও বীরনারায়ণ নামক রাজ ভ্রাতৃত্ৰয় ও অন্যান্য রাজ বংশীয়গণ ভিন্ন ভিন্ন স্থানে পলায়ন করেন। তন্মধ্যে চয়চিরি পরগণার চৌধুরী বংশীয়গণ ধৰ্ম্মনারায়ণের বংশজাত। তত্ৰত্য দধিবামণ দেব-সংবাদ সহ প্রথমেই আমরা রাজ ভ্রাতৃবর্গের বৃত্তান্ত বিবৃত করিতে প্রবৃত্ত হইতেছি। “ইটার রাজা ভানু নারায়ণের পাচ পুত্র, যথা—সুবুদ্ধি নারায়ণ (সুবিদ নারায়ণ), রামচন্দ্র ১. সেই কাহিনী শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত পূৰ্ব্বাশে (২য় ভাগ ৩য় খণ্ড ৭/৮ম অধ্যাযে) বিস্তারিতরূপে বর্ণিত হইয়াছে। ২. শ্ৰীযুত সতীশচন্দ্র রায় চৌধুরী প্রেরিত বিবরণ হইতে উদ্ধৃত। শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত(উত্তরাংশ-তৃতীয় ভাগ)-১৩