পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত (উত্তরাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/৩১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ অধ্যায় : তরফের মজুমদারদের কাহিনী শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ৩১৩ প্রাপ্তির জন্য রাজদ্বারে প্রার্থনা করিয়াছিলেন কিন্তু তাহা গ্রাহ্য হয় নাই। জায়গীর ব্যতীত স্থাবরাস্থাবর অন্যান্য বিত্ত অপর ভ্রাতৃবর্গের অধিকারে ছিল ও তাহা তাহারা ভাগ করিয়া লইয়াছিলেন। রঘুনাথের পুত্র রমাবল্লভ সুধীর, ন্যায়নিষ্ঠ ও স্বধৰ্ম্মতৎপর ব্যক্তি ছিলেন। রমাবল্লভ ও তদীয় ভ্রাতৃচতুষ্টয়ের বংশধরবর্গ সুঘরের “পাচঘরিয়া" বলিয়া উক্ত হন; ইহাদের খুল্লতাত শ্রীনাথ রায়ের পুত্রদ্বয়ের বংশধরগণ সহ সকলে “সাতঘরিয়া” মজুমদার নামে খ্যাত হইয়াছেন। একদা এক ধীবর জালে এক মনসা মূৰ্ত্তি প্রাপ্ত হয়। প্রাপ্ত মূৰ্ত্তিটি গৃহপ্রাঙ্গনে রাখিয়া ধীবর নিদ্রা যাইতেছিল। কথিত আছে, তখন সে স্বপ্লাবস্থায় দেখিতে পাইল যে, কে যেন বলিতেছে “ঐ মূৰ্ত্তিটি রমাবল্লভের বাড়ীতে রাখিয়া আস।” কিন্তু ধীবর তাহা গ্রাহ্য করিল না, সে এক প্রতিবেশী বিপ্রকে জালে প্রাপ্ত মনসা মূৰ্ত্তি প্রদান করিল। দৈববশতঃ মূৰ্ত্তি গ্রহণের পরক্ষণেই হঠাৎ উক্ত ব্রাহ্মণের এক পুত্র গতাসু হইল এবং অন্য পুত্রটিও মরণাপন্ন হইয়া পড়িল । এই আকস্মিক বিপৎপাতে ব্রাহ্মণ ভীত হইয়া মূৰ্ত্তিটি মজুমদার-গৃহে দিয়া আসিলেন; অতঃপর তাহার পুত্রটিও আরোগ্য লাভ করিল। এই মনসা-মূৰ্ত্তি অদ্যাপিও আছেন। রমাবল্লভের মৃত্যুর পর তদীয় জ্যেষ্ঠ পুত্র রাঘবরায়, কানুনগো পদবি প্রাপ্ত হন, কিন্তু কোন কারণে ইহা কনিষ্ঠ গঙ্গাগোবিন্দের উপরে ন্যস্ত হয় ৭ মহাত্মা গঙ্গাগোবিন্দই তখন জায়গীর ভোগের অধিকার প্রাপ্ত হইয়াছিলেন । তুঙ্গেশ্বরের মহাত্মা হরিশরণ সেন মহাশয়ের ন্যায় ইনিও স্বগুণে “সুঘরের মহাশয়” বলিয়া খ্যাতি অৰ্জ্জুনের অধিকারী হন। ৬. সুঘরের মজুমদার বংশ তালিকায় একাংশ এই— ক্ষে রায় নারায়া দাস | | TI s যাদবানন্দ রায় .ف মাধবানন্দ রায় হৃদয়ানন্দ রায় | - | | | রাঘবানন্দ নিত্যানন্দ মথুরানাথ | ভবানী দাস —Tরঘুনাথ মজুমদার শ্রীনাথ রায় (১) হরি রায় কাশী নাথ গোপীনাথ | - | | | | | রাবল্লভ হরবল্লভ বাণীবল্লভ রামবল্লভ রামদাস | | রাঘব রায় গাগোবিদ | কৃষ্ণগোবিন্দ রামগোবিন্দ | গোপালকৃষ্ণ | | কমলকৃষ্ণ প্রাণকৃষ্ণ (১) ইহার বংশধরেরা বৰ্ত্তমান আছেন।