পাতা:সংবাদপত্রে সেকালের কথা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ہ/بری ڈ উক্ত গৃহস্থের সুসস্তানটি প্রণাম করিলেন না ব্ৰহ্মাদি দেবতার হ্রাবাধ্যা যিনি তাঙ্গকে ঐ ব্যলীক বালক কেবল বাক্যের দ্বারা সম্মান রাখিল যথা গুড, মাৰ্ণিং ম্যডম ইহা শ্রবণে অনেকেই শ্রবণে হস্ত দিয়া পলায়ন করিবায় তাহার পিতা তাহাকে প্রহার করিতে উদ্যত হওয়ায় কোন ভদ্র ব্যক্তি নিবারণ করিয়া কহিলেন ক্ষাস্ত হও এস্থানে রাগ প্রকাশ করা উচিত নয় তাহাতে ঐ ব্যলীকের পিতা আক্ষেপ করিয়া কহিল ওরে আমি কি ঝকৃমারি কর্যে তোরে হিন্দুকলেজে দিয়াছিলাম যে তোর জন্যে আমার জাতি মান সমুদায় গেল. । *, এই সকল অনাচার কি করিয়া নিবারণ করা যায়, এ-বিষয়ে একজন ‘সমাচার চন্দ্রিকা’তে লিখিলেন (পৃ. ২৩৭ )— এ গোল নিবারণ করা রাজাভিন্ন কাহার সাধ্য নহে যেহেতুক যদ্যপি রাজাজ্ঞাক্ৰমে পূৰ্ব্ববৎ জাতিমালার এক কাছারী হয় এবং মাজিস্ত্রেটসাহেবদিগের উপর ভারাপণ করেন যে তাবল্পোক আপন২ আচার ব্যবহার ধৰ্ম্মযাজন না করিলে দণ্ডপ্রাপ্ত হইবেক এই আজ্ঞা প্রকাশ হইলেই ঐ ব্যলীকের তৎ পর দিবসেই ব্রাহ্মণ দেখিয়া কহিবেক ঠাকুর মহাশয় প্রণাম করি দশ জনের সাক্ষাৎ জিহ্মণ হইলে অর্থাৎ হাই উঠিলে রাধাকৃষ্ণ রামনারায়ণ গোবিন্দ কালী দুর্গ ইত্যাদি নাম উচ্চারণপূর্বক অঙ্গুলি ধ্বনি করিয়া আস্তিকতা জানাইবেক কেহ বা কোশ লইয়া প্রাতঃস্নানে যাইবেক কেহ তুলসীমালা ধারণ করিয়া সৰ্ব্বদা হরিবোল ২ বলিবেক অতএব প্রার্থনা যে শ্ৰীযুত গবর্নর জেনারল বাহাদুব এই হুকুম জারী করিয়া আমারদিগের জাতিধৰ্ম্ম রক্ষাকরণপূর্বক পুণ্যপ্রতিষ্ঠা প্রাপ্ত হউন এবং ব্যলীক বেটারদিগের তামাস দেখুন। আর এক জন পত্ৰলেখক এই সকল ছাত্রদিগকে নিষ্ঠাবান করিবার জন্য হিন্দুকলেজের মেম্বরদের নিকট আবেদন করিলেন,— অপর শ্ৰীযুত মেম্বর মহাশয়দিগের প্রতি আমারদিগের নিবেদন এইমত আজ্ঞা তাবৎ ক্লাস মেষ্টর এবং পণ্ডিত মহাশয়দিগের প্রতি দেন যে হিন্দুকালেজের ছাত্রেরা ফিরিঙ্গির মত পরিচ্ছদ না করিতে পায় যথা ফিরিঙ্গি জুতাপায় সবচুল মাথায় খালি আঙ্গবাখ গায় মালা নাই গলায় নেচরের গুণে স্থষ্টি স্থিতি প্রলয় হয় এবং দাড়িয়ে প্রস্রাব করে ইত্যাদি পরিবর্তে মাথা কামায় ফিরিঙ্গি জুতা পায় ন দিতে পায় উড়ানি কিম্বা একলাই দেয় গায় মালা দেয় গলায় অস্পশু দ্রব্য না থায় তিলকসেবা করে ত্রিকচ্ছ কর্যে ধুতী পরে ঈশ্বরের গুণানুকীৰ্ত্তনে সৰ্ব্বদ রত হয় কাছ খুলে প্রস্রাব ত্যাগ কর্যে জল লয় ইহা হইলে আপাততে হিন্দুর ছেলেদিগের হিন্দুর মত দেখায়.. । ( পৃ. ২৩৮ ) বলা বাহুল্য হিন্দুকলেজের পক্ষ সমর্থন করিবার লোকেরও অভাব ছিল না । ইহাদের মধ্যে এক জন ১৮৩১ সনের ২২এ জানুয়ারি ‘সমাচার দর্পণে লিখিলেন,— এক্ষণে আমি চন্ত্রিকাকার মহাশয়কে জিজ্ঞাসা করি ষে হিন্দুকালেজ স্থাপিতহওনের পূর্বে কি হিন্দু বালকদিগের কখন কোন কদাচার হইত না কেবল বহু পরিশ্রমপূর্বক কলেজে বিদ্যাভ্যাস করিয়া কি তাহারা সহস্র অপরাধে অপরাধী হইয়াছেন । ( পৃ. ২৩৩ )