পাতা:সংবাদপত্রে সেকালের কথা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৩৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*8b- মনংবাদ পত্রে মেকালের কথা গত বৎসরের মধ্যে কলিকাতার রপ্তানী দ্রব্যেতে দেড় লক্ষ টাকা বৃদ্ধি হইয়াছে । পাঠক মহাশয়েরা অনায়াসে বুঝিতে পারিবেন যে ইহাতে এতদ্দেশের কিপর্য্যন্ত মঙ্গল হইয়াছে। গত বৎসরের রপ্তানী আফীন পূর্ববৎসরাপেক্ষ ৭০ লক্ষ টাকার অধিক হইয়াছে। গত বৎসরে সর্বস্থদ্ধ যত টাকার আফীন রপ্তানী হয় তৎসংখ্যা ২ কোটি টাকার নূ্যন নহে । রেশমী বস্ত্রের রপ্তানীরও অনেক বুদ্ধি হইতেছে । এই রাজধানীর অধীন দেশে যত টাকার রেশমী বস্ত্র প্রস্তুত হইয়া রপ্তানী হয় তৎসংখ্যাও ৩২॥০ লক্ষ ইহাতে এই দেশে কত দরিদ্র লোকেরা কৰ্ম্ম পাইতেছে বিবেচনা করুন। কেহ২ অনুভব করিয়াছিলেন যে কোম্পানি বাহাদুর রেশমের বাণিজ্য ত্যাগকরাতে ঐ বাণিজ্যের নূ্যনত হইবে কিন্তু বোধ হয় না যে তদ্রুপ হইয়াছে। ১৮৩৪ সালে কোম্পানি বাহাদুর ২০ লক্ষ টাকার ও সাধারণ মহাজনেরা ৯ লক্ষ টাকার রেশমী বস্ত্র রপ্তানী করেন। গত বৎসরে কোম্পানি বাহাদুর ১১॥০ লক্ষ টাকার ও সাধারণ মহাজনেরা ২০ লক্ষ টাকার অধিকও রেশমী বস্ত্র রপ্তানী করেন। গত দুই বৎসরে রপ্তানী প্রায় তুল্যই হইয়াছে। পূৰ্ব্ববৎসরাপেক্ষ নীল রপ্তানী গত বৎসরে দেড় হয়। চিনির বাণিজ্যেরও কিঞ্চিৎ২ প্রাদুর্ভাব হইতেছে। পূৰ্ব্ববৎসরে ইঙ্গলণ্ডে ২২ লক্ষ টাকার ও গত বৎসরে ১৫ লক্ষ টাকার চিনী রপ্ত হয় । * পাঠক মহাশয়ের অবগত থাকিবেন যে এই রাজধানীর অধীন দেশস্থ কাপাসের বাণিজ্য পূৰ্ব্বে কোম্পানি বাহাদুরের হস্তে ছিল কিন্তু এইক্ষণে তাহা ত্যাগ করিয়াছেন তথাপি ঐ বাণিজ্যের উন্নতিই দৃষ্ট হইতেছে যেহেতুক ১৮৩৪ সালে সাপারণ মহাজনেরা চীন দেশে ২৭॥০ লক্ষ টাকার কাপাস রপ্ত করেন গত বৎসরে যত রপ্ত হয় তাহার মূল্য ৪৪ লক্ষ টাকা । ( ১০ সেপ্টেম্বর ১৮৩৬ । ২৭ ভাদ্র ১২৪৩ ) কলিকাতায় নূতন গুদামবাটী নিৰ্ম্মাণ —বহুকালাবধি কলিকাতাস্থ বাণিজ্যকারিরদের এমত বাসনা আছে যে কলিকাতার বন্দরে দ্রব্য ন্যস্ত রাখণার্থ গুদাম বাটী নিৰ্ম্মিত হয় । এবং যে সকল দ্রব্য পুনৰ্ব্বার রফ তানী হওন অভিপ্রায়ে কলিকাতায় আমদানী হয় তাহ বিনা মাস্থলে ঐ গুদামযাতকরণ ও তাহাহইতে বহিষ্করণার্থ গবর্ণমেণ্ট অনুমতি দেন। ইহাতে কলিকাতার বাণিজ্যবিষয়ে অবশ্যই অধিক উৎসাহ জন্মিবে । কিন্তু তদ্বিষয় সফল করণার্থ ইহা আবশ্যক হইবে যে পুনশ্চ রফ তানী হওনার্থ যে সকল দ্রব্য কলিকাতায় আমদানী হয় তাহ গবর্ণমেণ্টের এক জন কৰ্ম্মকারকের অধীন থাকে। তাহা হইলে তাহার দৃষ্ট হইবে যে এতদ্রুপে বিনা মাস্থলে যে সকল দ্রব্য আমদানী হয় তাহা বাজারে গোপনে বিক্রয় হইতে পারিবে না। অতএব তৎপ্রযুক্ত বড় এক গুদাম বাট প্রস্তুতকরণ আবশ্যক হইবে । কিয়ৎকালাবধি এই বিষয় বাণিজ্যসমাজের বিবেচনাধীন আছে । সংপ্ৰতি ঐ গুদাম গাথানের যে প্রকার নকশার প্রস্তাব করা গিয়াছে তাহা এই যে ঐ গুদাম বাটী ক্লাইব স্ত্রিটনামক