পাতা:সংবাদপত্রে সেকালের কথা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৪৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সমাজ 8్సల ( ২১ নবেম্বর ১৮৩৫ ৭ অগ্রহায়ণ ১২৪২ ) ভগবানগোলায় মহামারী । [ হরকরার পত্রপ্রেরকহইতে ] সংপ্ৰতি এপ্রদেশে অতিশয় মারক হইয়াছে রোদন বিলাপাদিব্যতীত অন্য শব্দ কোন স্থলে কদাচিৎ শুনা যায় এইক্ষণে সময় ভাল হইতেছে বটে কিন্তু মরকের কিছু নূ্যনত হয় নাই বঙ্গপ্রদেশে এই অত্যন্তু পীড়ার সময় এইক্ষণে প্রায় সকল স্থানেই জরপীড়ার প্রাদুর্ভাব হয় বিশেষতঃ ভগবানগোলার সর্বস্থানে ঐ পীড়া এমত সাজঘাতিক ভয়ানক যে তাহা হইলে রোগী পাচ দিনের অধিক রক্ষ পায় না এ বৎসরের জরের ধারাই এইরূপ হইয়াছে বাঙ্গালি কবিরাজের তাহার কিছুই করিতে পারে না প্রথমে অপাক হইয়া পরে জর প্রকাশ পায় কিন্তু কম্প হয় না বাঙ্গালি কবিরাজের জোলাপ না দিয়া কোষ্ঠ শুদ্ধির নিমিত্ত হরিতালঘটিত বটিক দেয় তাহাতে জরের দমন হয় বটে কিন্তু শারীরিক পূর্বাপেক্ষ অধিক দুৰ্ব্বল করে এবং তাতাতে জর ত্যাগ হয় না রোগিরা বাহিরে জরের উপশম দেখিয়া লোভপ্রযুক্ত যাহা মনে লয় তাহাই খায় তাহাতে সুতরাং পুনরায় পীড়িত হইয়া মারা পড়ে অতএব বাঙ্গালিরা ইঙ্গরেজী বৈদ্যশাস্ত্রাতুসারে চিকিৎসায় সুশিক্ষিত ন হইলে এ বিষয়ে ভারতবর্ষের উত্তম উপকার হুইবেক না —জ্ঞানান্বেষণ । ( ১ এপ্রিল ১৮৩৭ ৷ ২০ চৈত্র ১২৪৩ ) শ্ৰীযুত দর্পণপ্রকাশক মহাশয় বরাবরেষু —.এই অঞ্চলে বহুকালাবধি এতদ্দেশীয় এক চিকিৎসালয় স্থাপনের আবশ্বক ছিল এইক্ষণে তাহ সিদ্ধ হইয়াছে । হুগলি শহরের মধ্যস্থলেই অর্থাৎ পোলীস থানার চৌকির নিকটে নিরূপিত ঐ চিকিৎসালয়ে সৰ্ব্বজাতীয় রোগিব্যক্তিরা বিনা ব্যয়েতে আরোগ্য প্রাপ্ত হইতেছেন । উক্ত স্থানে উত্তম বৃহৎ এক বাটী কে রায়া হইয়া তাহাতে হিন্দু মোসলমান রোগিরদিগকে স্বতন্ত্র২ কুঠরী দেওয়া গিয়াছে ঐ চিকিৎসালয়ের কৰ্ম্মকারক ও তদ্বিষয়ে ব্যয়ের ফর্দ প্রকাশ করিতেছি তাহাতে অনায়াসে বোধ হইবে যে রোগিরদের জাতীয় মানবিচের বিষয়েও কোন হানি সম্ভাবনা নাই । গত ফেব্রু আরি মাসে তথায় কত রোগির চিকিৎসা হয় তাহার সংখ্যা নীচে লিখিতেছি তং দৃষ্টে পরমসন্তোষ জন্মে । মৃত ব্যক্তিরদের সংখ্যা দৃষ্টি করিলে অনুভব হয় রোগিরা অন্যত্র চিকিৎসাবিষয়ে ভগ্নাশ না হইয়া প্রায় এ স্থলে আইসে নাই । এই চিকিৎসালয়ের খরচ অতিপ্রসিদ্ধ ইমামবাটীর যে জমিদারী ৬ প্রাপ্ত হাজি মহল্লাহ্মদহুসেন দান করিয়া যান তাহার উপস্বত্বহইতে চলিতেছে। এবং শ্ৰীযুত ডাক্তর ওয়াইস সাহেবের উদ্যোগেতে এই অতিপ্রশংস্ত ব্যাপার নিদ্ধাৰ্য্য হইয়াছে। উক্ত শ্ৰীযুক্ত সাহেব উদ্যোগ ও প্রযোজকতাবিষয়ে নিতান্ত অশ্রান্ত উৎসাহী । এই চিকিৎসালয় স্থাপন এবং হুগলির বিদ্যালয় স্থাপন ও হর্টিকলতুরাল সোসৈটি স্থাপনে শ্ৰীযুত সাহেব যেরূপ মহোদ্যোগ করিয়াছেন তৎপ্রযুক্ত তিনি অতিপ্রশংসা ও ধন্যবাদযোগ্য হন। কেষাঞ্চিৎ হুগলিনিবাসিনাং ।