পাতা:সংবাদপত্রে সেকালের কথা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৭৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সম্পাদকীয় । qe\> অলঙ্কার-শ্রেণী ১৮৩৫ সনের ফেব্রুয়ারি মাসে ঈশ্বরচন্দ্র সংস্কৃত কলেজের অলঙ্কার-শ্রেণীতে প্রবিষ্ট হন । এই শ্রেণীতে তখন প্রেমৰ্চাদ তর্কবাগীশ অধ্যাপনা করিতেন । অলঙ্কার-শ্রেণীতেও মদনমোহন ঈশ্বরচন্দ্রের সহপাঠী ছিলেন এবং উভয়েই মাসিক ৫২ বৃত্তি পাইতেন । এই শ্রেণীতে ঈশ্বরচন্দ্র এক বৎসর অধ্যয়ন করিয়াছিলেন ; তাহাকে ‘সাহিত্যদর্পণ", ‘কাব্যপ্রকাশ’ ও রসগঙ্গাধর' পড়িতে হইয়াছিল । ১৮৩৫-৩৬ সনের বার্ষিক পরীক্ষায় ঈশ্বরচন্দ্র সৰ্ব্বোচ্চ স্থান অধিকার করিয়া রঘুবংশ, সাহিত্যদর্পণ, কাব্যপ্রকাশ, রত্নাবলী, মালতীমাধব, উত্তররামচরিত, মুদ্রারাক্ষস, বিক্রমোর্কশী ও মৃচ্ছকটিক পারিতোষিক পাইয়াছিলেন । জ্যোতিয-শ্রেণী ১৮২৬ সনের এপ্রিল মাসে স্থির হয়, সংস্কৃত কলেজের সাহিত্য ও অলঙ্কার শ্রেণীর ছাত্রগণকে অস্ততঃ এক বৎসর ভাস্করাচার্য্যের লীলাবতী ও বীজগণিত পড়িতে হইবে । এই বিষয়ে অধ্যাপনার জষ্ঠ পরবর্তী মে মাসে, উইলসন সাহেবের সুপারিশে, ষোগধ্যান মিশ্র নামে এক জন পণ্ডিত মাসিক ৮০২ বেতনে নিযুক্ত হন । আমার মনে হয়, ঈশ্ববচন্দ্ৰ অলঙ্কার-শ্রেণীতে এক বৎসর অধ্যয়নকালে জ্যোতিষ-শ্রেণীর পাঠও লইয়া থাকিবেন । তিনি যে এক সময় এই শ্রেণীতে অধ্যয়ন করিয়াছিলেন তাহার প্রমাণ, ১৮৪১ সনের ডিসেম্বর মাসে সংস্কৃত কলেজের অধ্যাপকবর্গ তাহাকে যে প্রশংসাপত্র দেন, তাহাতে জ্যোতিযের অধ্যাপক যোগধ্যান মিশ্রেরও স্বাক্ষর অাছে । বেদান্ত-শ্রেণী অলঙ্কার-শ্রেণীর পাঠ শেষ করিয়া ১৮৩৬ সনের মে মাসে সহপাঠী মদনমোহনের সহিত ঈশ্বরচন্দ্র বেদাস্ত-শ্রেণীতে যোগদান করেন । শম্ভুচন্দ্র বাচস্পতি এই শ্রেণীর অধ্যাপক ছিলেন । শম্ভুচন্দ্র বিদ্যারত্ব বিদ্যাসাগর-জীবনচরিতে লিখিয়াছেন, “অগ্রজ মহাশয়, কলেজের অধ্যক্ষ মহাশয়ের নিকট আবেদন করিয়া, অলঙ্কার-শ্রেণী হইতে অগ্ৰে স্মৃতি-শ্রেণীতে প্রবিষ্ট হইলেন ।” শম্ভুচন্দ্রের এই উক্তি ঠিক নহে ; তাহাকে অবলম্বন করিয়া বিদ্যাসাগরের অন্যান্য চরিতকারেরাও এই ভুলের পুনরাবৃত্তি করিয়াছেন । ১৮৩৬ সনের মে মাস হইতে ১৮৩৮ সনের প্রথম ভাগ পর্য্যস্ত দুই বৎসর কাল ঈশ্বরচন্দ্ৰ বেদান্তশ্রেণীতে অধ্যয়ন করিয়াছিলেন । এত দিন তিমি মাসিক ৫২ বৃত্তি পাইয়া আসিতেছিলেন, কিন্তু ১৮৩৭ সনের মে মাস হইতে র্তাহার ও মদনমোহনের মাসিক বৃত্তি ৮২ নিৰ্দ্ধারিত হয়। ১৮৩৬-৩৭ সনের বাৰ্ষিক পরীক্ষার পারিতোষিকের তালিকা সংস্কৃত কলেজের নথিপত্রের মধ্যে পাই নাই । এই কারণে এ-বৎসর ঈশ্বরচন্দ্র কোন পারিতোষিক পাইয়াছিলেন কি না জানা যায় নাই । বেদাস্ত-শ্রেণীতে দ্বিতীয় বৎসর অধ্যয়ন করিবার পর, ১৮৩৭-৩৮ সনের বার্ষিক পরীক্ষণয় ঈশ্বরচন্দ্র প্রথম স্থান অধিকার করিয়া দশ টাকা মূল্যের পুস্তক—মন্ত্র (২২), প্রবোধচন্দ্রোদয় (২২), অষ্টাবিংশতি