পাতা:সরল বাঙ্গালা সাহিত্য.djvu/১১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> o > বাঙ্গালা সাহিত্যের আদিযুগ ও পরযুগ রাজা যুদ্ধে যাওয়ার সময়, বণিক সমুদ্রে যাত্রার সময়, চাষা ক্ষেতে বীজ বুনিবার সময় জ্যোতিষের শরণ লইত। যেখানে মানুষের শক্তি কুলায় না, ফলাফল দৈবের হাতে –সেই খানেই মানুষ গণকের সাহায্য চাহিত । ঢেউ ও ঝড় সম্মুখে করিয়া সদাগর অকুল পাথারে চলিতেছে, রাজা শত্ৰু-সৈন্যময় বিষম রণক্ষেত্রে যাইতেছেন, চাষা বৃষ্টি রোদ-হাওয়া প্রভৃতি অনিশ্চিত শক্তি-পুঞ্জের হাতে নিজের সাধের বীজগুলি ছাড়িয়া দিতেছে। ইহা ছাড়া বিবাহাদির ফলও তো তেমনষ্ট অজানা, বর-কণের পক্ষেও তো সেও একরূপ অকুল পাথারে ঝাপ ; এ অবস্থায় গ্রহ-নক্ষত্রের যদি কোন শক্তি থাকে, যাহাদের প্রভাবে ঝড় হয়, বৃষ্টি হয়, রেীন্দ্র হয়, মেঘ হয়, নদীতে বাণ ডাকে,—বিপদে তাহাদের শক্তিটা মানিয়া নেওয়া নিতান্ত অস্বাভাবিক নহে। আদি-যুগের সাহিত্যে অনেক জঞ্জাল আছে, কারণ তাহাতে পণ্ডিতেরা লিখেন নাই । অল্প শিক্ষিত এবং অশিক্ষিত ব্যক্তিরা মুখে মুখেই ছড়া তৈরি করিত। মুখে মুখে উচ্চারিত হইয়াই তাহারা অধিকাংশ জায়গায় চলিয়া আসিয়াছে । পণ্ডিতেরা সংস্কৃত লইয়া থাকি