পাতা:সরল বাঙ্গালা সাহিত্য.djvu/১২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সরল বাঙ্গালা সাহিত্য ১১২ প্রভাবের প্রধান লক্ষণ এই যে ইহা ভূজঙ্গ প্রয়াত নামক একটি সংস্কৃতের ছন্দে লিখিত হইয়াছে। বাঙ্গালা ভাষায় এরূপ বড় সংস্কৃতের ছন্দ আর কোন কবি এরূপ নিছুল ও সুন্দর ভাবে আনিতে পারেন নাই। অথচ এই বড় ছন্দ ও ধম্বাত্মক শব্দ ব্যবহার করিয়া ভারতচন্দ্র কবিত্ব ভুলিয়া যান নাই । “ছলচ্ছল কলঙ্কল টলটল তরঙ্গ” ছত্রে কবি “চলচ্ছল" কথাটা দ্বারা নদীর চঞ্চল প্রবাহ, “কলকল” দ্বারা নদীর মধুর শব্দ এবং “টলটল” দ্বারা নদীর জলের নিৰ্ম্মলতা বুঝাইয়াছেন। এরূপ অল্প কথায় এমন সুন্দর ভাবে নদীর তিনটা বিশেষ গুণ বুঝাইতে পারা সামান্য শক্তির কথা নহে। এই সংস্কৃতের প্রভাব ভারতচন্দ্রের প্রায় একশত বৎসর পূর্বে আলোয়াল নামক এক মুসলমান কবি বিশেষ ভাবে দেখাইয়াছিলেন । ইহার বাড়ী ছিল চাটগায়ে, ইহার পিতা পর্তুগিজ ডাকাতদের হাতে পড়িয়া প্রাণত্যাগ করেন । কবি ব্রহ্মদেশের রাজমন্ত্রী মাগন ঠাকুরের আদেশে পদ্মাবৎ কাব্য রচনা করেন। তখন মোগল সম্রাট আওরঙ্গজেব ভারতবর্ষের সম্রাট ছিলেন। মালীক মহাম্মদ নামক একজন হিন্দুস্থানী