ভাগটা মুখে পুরে চলেছি, কোথা থেকে সে এসে খপ্ ক’রে হাত ধ’রে ফেলল। রাগ ক’রে মুখের দিকে তাকাতে সে এমন ভাবে হাসল যে লজ্জা পেলাম।
বলল, দরজার পাশ থেকে দেখছিলাম, আর কটা খাচ্ছ গুণছিলাম। যা খেয়েছ তাতেই বােধ হয় অসুখ হবে, আর খেয়ােনা। কেমন?
ভর্ৎসনা নয়, আবেদন। মার কাছে ধরা পড়লে বকুনি খেতাম এবং এক খাব্লা খাবার তুলে নিয়ে ছুটে পালাতাম; এর আবেদনে হাতের খাবার ফেলে দিলাম। সে বলল, লক্ষ্মী ছেলে। এসাে জল খাবে।
বাড়ীর সকলে কুটুম নিয়ে অন্যত্র ব্যস্ত ছিল, জল পেয়ে আমি রান্না ঘরে আসন পেতে তার কাছে বসলাম। এতদিন তার গম্ভীর মুখই শুধু দেখেছিলাম, আজ প্রথম দেখলাম, সে নিজের মনে হাসছে।
আমি বললাম, বামুনদি—
সে চমকে হাসি বন্ধ করল। এমন ভাবে আমার দিকে তাকাল যেন আমি তাকে গাল দিয়েছি। বুঝতে না পেরেও অপ্রতিভ হলাম।
কি হল বামুনদি?
সে এদিক ওদিক তাকাল। ডালে খানিকটা নুন ফেলে দিয়ে এসে হঠাৎ আমার গা ঘেষে ব’সে পড়ল। গম্ভীর মুখে বলল, আমায় বামুনদি বােলােনা খোকা। শুধু দিদি বােলাে। তােমার মা রাগ করবেন দিদি বললে?
আমি মাথা নাড়লাম। সে ছােট এক নিশ্বাস ফেলে আমাকে এত কাছে টেনে নিল যে আমার প্রথমটা ভারি লজ্জা করতে লাগল।
তারপর কিছুক্ষণ আমাদের যে গল্প চলল সে অপূর্ব্ব কথােপকথন মনে