পাতা:সাধুচরিত.pdf/৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՅԵս সাধু-চরিত । শক্তি নষ্ট হইয়া যায় । বৃথা কীলক্ষেপ না করিয়া সমস্ত বৎসর যথোপযুক্ত পরিশ্রম করিলে শেষে আর সময় হারাইয়। অনুশোচনা করিতে হয় না । নবকুমার দেহের মায়া পরিত্যাগ করিয়া কলেজে প্রশংসালাভের জন্য অত্যধিক পরিশ্রম করিতেন । তাহার অতি শোচনীয় - পরিণাম হইল । তাহার যক্ষমারোগের লক্ষণ প্রকাশের সংবাদে ব্যতিব্যস্ত হইয়। লাহিড়ী মহাশয় কলিকাতা আগমন করিলেন । স্বৰ্গীয় কেশবচন্দ্র সেন মহাশয়কে সঙ্গে করিয়া মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডাক্তার নৰ্ম্মাণ চিভাসের সহিত সাক্ষাৎ করিলেন। র্তাহার পুত্র প্রতিম শিম্ভ স্বৰ্গীয় কালীচরণ ঘোষ মহাশয়ের বাসায় নবকুমারকে রাখিয়া চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হইল । কিছুদিন কাটিয়া গেল । নবকুমারের পীড়ার কোনও উপশম হইল না । নবকুমার কৃষ্ণনগর গমন করিলেন ; ইন্দুমতীও স্কুল পরিত্যাগ করিয়া ভ্রাতার শুশ্রষার জন্য গৃহে চলিয়া গেলেন । নবকুমারের পীড়া ক্রমেই কঠিন হইতে লাগিল, যন্ত্রণাও ক্রমেই বাড়িতে লাগিল । পশ্চিমের অনাৰ্দ্ৰ বায়ুতে ব্যাধির উপশম হইতে পারে আশা করিয়া সকলে নবকুমার ও ইন্দুমতীকে ভাগলপুরে প্রেরণ করিলেন । কিয়দিন ভাগলপুরে অবস্থানের পর শবকুমার একটু ভাল হইলেন, এবং তথায় চিকিৎস।