পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা চতুর্থ খণ্ড.pdf/৩৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাময়িক-পত্র পরিচালন >, হইল। আমাদের পুরোহিত ঠাকুরের পরামর্শে আমার মাতামহী কহিলেন, “তুই কেন টোলে পড়তে যা না ?" আমি, এই নূতন বিদ্যার নাম শুনিয়া উৎসাহে নাচিয়া উঠিলাম--- অবিলম্বে রাধামোহন তর্কালঙ্কার মহাশয়ের চতুষ্পাঠীতে মুগ্ধবোধ পড়িতে আরম্ভ করিলাম ...•••এক বৎসর কলি অত্যন্ত মনোভিনিবেশ সহকারে পড়িয়ছিলাম, তাহার পর অত অম্বুরাগ ছিল না।” "র্কেড়েলের জীবন" হইতে মনোমোহনের বাল্য-জীবনের আর কোন কথা জনা যায় মা ! মনোমোহন আন্ত:পর মাত্তা মহালয় হইতে ছোট জাগুলিয়ায় ফিরিয়৷ আসেন। তথায় কিছু দিন ইংরেজী পড়িয়া কলিকাতায় আসিয়া হেয়ার সাহেবের স্কুলে ভৰ্ত্তি হন। এখানকার পাঠ সাঙ্গ হইলে তিনি জেনারাল অ্যাসেমব্লিজ ইন্‌ষ্টিউশনে (বৰ্ত্তমান স্কটিশ চার্চ কলেজে ) প্রবেশ করেন । মনোমোহন কৃতী ছাত্র ছিলেন। তিনি একবার রচনা-প্রতিষোগিতায় শীর্ষস্থান অধিকার করিয়া কলেজ স্তৃপক্ষের: নিকট হইতে সুবর্ণপদক লাভ করিয়াছিলেন । রচনার ধয় ছিল— ছাত্রজীবনের কৰ্ত্তব্য । সাময়িক-পত্র পরিচালন শৈশব হইতেই মনোমোহন কবিতা রচনায় অভ্যস্ত ছিলেন । কলিকাতায় আসিয়া তিনি ‘সংবাদ প্রভাকর’-সম্পাদক ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তের সহিত পরিচিত হন । পাঠক-মহলে তখন 'প্রভাকরের প্রবল প্রতিপত্তি । মনোমোহন ঈশ্বরচন্দ্রের শিষ্ণুত্ব গ্রহণ করেন । তাহার