পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা চতুর্থ খণ্ড.pdf/৪৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

爵蜘 শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় দুনিয়ায় যা কিছু সত্যই ঘটে, নিৰ্বিচাৱে তাকেই সাহিত্যের উপকরণ করলে সত্য হতে পারে, কিন্তু সত্য-সাহিত্য হয় না। অর্থাৎ, যা কিছু ঘটে তার নিখুত ছবিকেও আমি যেমন সাহিত্যবস্তু বলিনে, তেমনি যা ঘটে না, অথচ, সমাজ বা প্রচলিত নীতির দিক দিয়ে ঘটলে ভাল হয়, কল্পনার , উচ্ছম্বল গতিতেও সাহিত্যের ঢের বেশী বিড়ম্বন ঘটে। আমার অবসর অল্প, বক্তব্য বস্তুকে আমি পরিস্ফুট করতে পারি নি, এ আমি জানি, কিন্তু হাংণিক-সাহিত্য রচনার সমাজের এক শ্রেণীর শুভাকাঙ্ক্ষীদের মনের মধ্যে কোথায় অত্যন্ত ক্ষোভ ও ক্রোধের উদয় হয়েছে, বিরোধের আরস্ত যে কোস্থানে, সে দিকে অঙ্গুলি নির্দেশ করাটুকু বোধ করি আমার সম্পূর্ণ হয়েছে। কিন্তু আলোচনা ঘোরতর ক’রে তোলবার আমার প্রবৃত্তি নে সময় নেই, শক্তিও নেই, শুধু অশেষ শ্রদ্ধাভাজন আমাদের পূর্ববৰ্ত্তী হত্যচার্য্যদের পদাঙ্ক অনুসরণ করবার পথে কোথায় বাধা পেয়ে আমরা যে অন্ত পথে চলতে বাধ্য হ’য়ে পড়েছি, সেই আভাস মাত্র আপনাদের কাছে সবিনয়ে নিবেদন করলাম —“সাহিত্য ও "ত ” 淡 赛 豪 -- “পল্লী-সমাজ বলে আমার একখানা ছোট বই আছে । তার বিধবা রমা বাল্যবন্ধু রমেশকে ভালবেসেছিল ব’লে আমাকে অনেক তিরস্কার সহ করতে হয়েছে । একজন বিশিষ্ট সমালোচক এমন অভিযোগও করেছিলেন যে, এত বড় দুর্নীতির প্রশ্রয় দিলে গ্রামে বিধবা কেউ আর থাকবে না ; মরণ বঁাচনের কথা বলা যায় না, প্রত্যেক স্বামীর পক্ষেই ইহা গভীর ছুশ্চিস্তার বিষয়। কিন্তু অার একটা দিকৃও ত আছে । ইহার প্রশ্রয় দিলে ভাল হয় কি