পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা চতুর্থ খণ্ড.pdf/৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

"දාඨි রাজকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় যুদ্ধ করিয়া কাল শূলাঘাতে প্রাণ পরিত্যাগ কপিতেছে ; ঘূর্ণিত চক্ষু এখনও নির্মীলিত হয় নাই, ক্ৰোধে দন্তীঃ মুখভঙ্গি এখনও পরিবর্তিত হয় নাই, নিয়ে ছিন্নমুণ্ড মধুখ দুষ্ট হইতেছে, সিংহ আম্ফালন করিতেছে। কোন স্থানে রক্তপীজ বধ বাসনীয় খঙ্গ হস্তে ভীম চামুণ্ড লোলজিহ্বা বিস্তার করিতেছেন । কোথায় বা তমালতলে গোকুলের রাখালরাজ BBSBB BBBBB BBBB BBB BBBBB S BBBB BBBBB খোদিত প্রতিমূৰ্বিদিগের মধ্যে কাহার কাহার কোন কোন অঙ্গ প্রত্যঙ্গে ক্ষয় ধরিয়াছে, কোন কোন অঙ্গ একেবারে বিলুপ্ত হইয়াছে । মন্দিরটি পূৰ্ব্বমুখ , দক্ষিণ পার্থে এই সংস্কৃত কবিতাটি খোদিত আছে ।

  • কালাস্কবাণেন্দু-মিতে শক। দকে জ্যৈষ্ঠে শুভে মাসি সুনিৰ্ম্মলাশয় । শ্ৰীকৃষ্ণায়: শুভ সৌধমন্দিরং শ্ৰীযুক্ত রাধারমণায় সদদে৷ ” এতচ্ছ্বারা জানিতে পারা যাইতেছে, ১৫৯৬ শকের জ্যৈষ্ঠ মাসে শ্ৰীকৃষ্ণ রায় এই মন্দিরের প্রতিষ্ঠা করেন । কেহ বলেন, শ্ৰীকৃষ্ণ রায় রাজা রায়মুকুটের পুত্র, কেহ বলেন রাজা রায়মুকুটের পৌত্র। জয়দিয়া গ্রাম রাজা রায়মুকুটের রাজধানী ছিল। জয়দিয়া গোস্বামী-দুর্গাপুরের প্রায় ১৪ ক্রোশ দক্ষিণে অবস্থিত। এখনও সেখানে রাজপ্রাসাদের ভগ্নাবশেষ দৃষ্ট হইয়া থাকে। রাজবংশের অনেক লোক সেখানে বাস করেন । কিন্তু সৌভাগ্যলক্ষ্মী কোথায় গিয়াছে? রাজা রায়মুকুট শকাব্দী ষোড়শ শতাব্দির প্রারম্ভে প্রায়ুভূত হইয়াছিলেন ; তাহার দত্ত ব্ৰহ্মত্র অনেকে নয় দশ পুরুষ ভোগ করিয়া আসিতেছেন। তিনি এক প্রকার গোস্বামীদুর্গাপুরের সংস্থাপনকর্তা। তাহার কন্য। দুর্গাবতী হইতে গ্রামের নামকরণ হইয়াছে। দুর্গাপুরের গোস্বামীরাও দুর্গাবতীর বংশসস্তৃত।