পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সরকারী চাকুরী २१ গ্রহণ করিতে অনিচ্ছা প্রকাশ করিলেন। শেষে ডাঃ ময়েট বিশেষ আগ্রহ প্রকাশ করায় বিদ্যাসাগর জানাইলেন, শিক্ষা-পরিষদ তাহাকে প্রিন্সিপালের ক্ষমতা দিলে তিনি ঐ পদ গ্রহণ করিতে পারেন। ডা: ময়েট বিদ্যাসাগরের নিকট হইতে ঐ মৰ্ম্মে একথানি পত্র লিখাইয় লইলেন। ৪ ডিসেম্বর ১৮৫০ তারিখে ফোর্ট উইলিয়ম কলেজ ছাড়িয়া পর-দিন বিদ্যাসাগর সংস্কৃত কলেজে সাহিত্য-শাস্থের অধ্যাপক নিযুক্ত হইলেন। সংস্কৃত কলেজের প্রকৃত অবস্থা কি, এবং কিরূপ ব্যবস্থা অবলম্বন করিলে কলেজের উন্নতি হইতে পারে—এ বিষয়ে রিপোর্ট কবিবার জন্য বিদ্যাসাগরের উপর ভার পড়িল । ১৬ই ডিসেম্বর বিদ্যাসাগর “দীর্ঘচিন্তু ও যথেষ্ট বিবেচনা-প্রস্থত” এক বিস্তুত রিপোর্ট শিক্ষা-পরিষদে দাখিল করিলেন ।* কলেজ-পরিচালনের বিধি ব্যবস্থা ও পাঠ্যপ্রণালীর বহুবিধ পরিবর্তন সমর্থন করিয়া এই রিপোর্ট লিখিত পুনর্গঠিত সংস্কৃত কলেজ যে সংস্কৃত বিদ্যানুশীলনের কেন্দ্র ও মাতৃভাষা-রচিত সাহিত্যের জন্মক্ষেত্র হইবে, এবং এই বিদ্যালয়ের ছাত্রেরাই যে শিক্ষকরূপে এক দিন জনসাধারণের মধ্যে শিক্ষা, জ্ঞান ও সাহিত্য-রস বিতরণ করিবে,-- পরিবর্তনের ফল যে একান্ত শুভ ও আশাপ্রদ, রিপোর্টে তিনি এ কথা দৃঢ়তার সহিত জানাইলেন। শিক্ষা-পরিষদ এমনই একজন কাৰ্য্যপট, দৃঢ়চিত্ত লোককে চাহিতেছিলেন। সংস্কৃত কলেজ সম্পূর্ণরূপে পুনর্গঠিত করা যায় কি নী— এই কথাই কিছু দিন হইতে র্তাহারা ভাবিতেছিলেন। ঠিক এই সময়ে

  • General Report on Public Instruction, etc., 1850--5] $33 w8-89 পৃষ্ঠায় এই দীর্ঘ রিপোর্ট মুত্রিত হইয়াছে। মুবলচন্দ্র মিত্রের বিদ্যাসাগর-জীবনীতেও ইহা उँछु ऊ ठू३ग्राप्झ !