পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৩২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাহিত্য-জীবন *y শিল্পসাধনার ক্ষেত্রে দেশকালপাত্র-নিরপেক্ষ বঙ্কিমচন্দ্র তাহার যুগে একক ছিলেন, তাহার সকল দেশপ্রেম ও স্বজাতিকতাকে ছাপাইয়া র্তাহার সেই নিঃসঙ্গ মনের আর্তনাদ আমরা আজও শুনিয়া শিহরিয়া উঠিতেছি। - এইবার উপন্যাস। বঙ্কিমচন্দ্র এ যুগে মোট এগারখানি ক্ষুত্রবৃহৎ উপন্ধান রচনা করিয়াছিলেন। পুস্তকাকারে প্রকাশ-কালের ক্রম খরিয়া cगसजि dहे :-s । दिदछूक-sv१७, २ । हेमिब्रा (&हाँकँ)-$४१७, ৩। যুগলাঙ্গুরীয়-১৮৭৪, ৪। চন্দ্রশেখর—১৮৭৫, ৫। রাধারাণী— ১৮৭৫, ৬। রজনী—১৮৭৭, ৭ । কৃষ্ণকাস্তের উইল—১৮৭৮, ৮। রাজসিংহ (ছোট)–১৮৮২, ১। আনন্দমঠ–১৮৮২, ১ । দেবী চৌধুরাণী—১৮৮৪ এবং ১১। গীতারাম—১৮৮৭। পরিবর্কিত ইন্দিরা ( ১৮৯৩) ও ‘রাজসিংহ ( ১৮৯৩) স্বতন্ত্র উপন্যাস বলিয়া ধরিলে এই যুগে মোট উপন্যাসের সংখ্যা তের। এই ডেবৃথানি উপন্যাসকে দুইটি স্বতন্ত্র বিভাগে ভাগ করা যায়। ‘আনন্দমঠ, দেবী চৌধুরাণী ও সীতারাম’ এই তিনখানি এক পর্যায়ে পড়ে ; বাকী দশখানি ( দুই ‘ইন্দির, দুই রাজসিংহ ) অপর পর্য্যায়ভুক্ত। শেষোক্ত পৰ্য্যায়ে বঙ্কিমচন্দ্র নিছক কবি এবং শিল্পী ; প্রথম পৰ্য্যায়ে তিনি কবি এবং শিল্পী ছাড়াও জাতিগঠনপ্রয়াসী প্রচারক। বঙ্কিমচন্দ্রের এই উপন্যাসগুলি লইয়া বহু আলোচনা হইয়াছে এবং বহু সমালোচক এই আলোচনাগুলি স্বতন্ত্র পুস্তকাকারে প্রকাশ করিয়াছেন। আমরা আলোচনা ও বাদামুবাদ পরিহার করিয়া সংক্ষেপে এই উপন্যাসগুলির রচনার ধারাবাহিক ইতিহাস মাত্র বর্ণনা করিৰ। উদ্যোগপর্বে বঙ্কিমচন্দ্র তিনখানি ঐতিহাসিক রোমান্সধৰ্ম্মী উপন্যাস লিখিয়া বুঝিতে পারিয়াছিলেন, বাংলাদেশকে সম্পূর্ণ জয় করিতে হইলে