পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

** ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর শাস্থে যাহার অঙ্কুর আছে, এমন কোন বৈজ্ঞানিক সত্যের কথা শুনিলে, সেই সত্য সম্বন্ধে শ্রদ্ধা দেখান দূরে থাক, শাস্থের প্রতি তৃহাদের কুসংস্কারপূর্ণ বিশ্বাস আরও দৃঢ়ীভূত হয় এবং আমাদেরই .ঞ্জয় এই ভাব ফুটিয় উঠে। এই সব বিবেচনা করিয়া ভারতবর্ষীয় পণ্ডিতদের মৃতম বৈজ্ঞানিক সত্য গ্রহণ করাইবার কোন আশা আছে, এমন আমার বোধ হয় না। যে প্রদেশের পণ্ডিতদের দেখিয়া ডাঃ ব্যালাণ্টাইন অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করিয়৷ এই সব সিদ্ধান্তে উপনীত হইয়াছেন, সেই উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে তাহার মত খাটাইলে স্বফল পাইবার সম্ভাবনা । বাংলার কথা স্বতন্ত্র । ‘দুই স্থানের বিভিন্ন অবস্থা বিবেচনা করিয়; কাৰ্য্য করা উচিত’ এবং ‘জোর করিয়া সামঞ্জস্য-বিধান বিজ্ঞের কার্য্য নহে!—তাহার এই মন্তব্যগুলি খুবই সমীচীন। ভারতবর্ষের এই অংশের স্থানীয় অবস্থার দরুন শিক্ষাবিস্তার-কার্য্যে আমাদের ভিন্ন প্রণালী অবলম্বন করিতে হইয়াছে । আমি সযত্বে এখানকার অবস্থা পর্য্যবেক্ষণ করিয়াছি ; তাহাতে আমার মনে হইয়াছে, দেশীয় পণ্ডিতদের . কোম-কিছুতে হস্তক্ষেপ করা মোটেই উচিত নয়। তাহাঁদের মনস্তৃষ্টি সম্পাদনের প্রয়োজন নাই ; কেন-না, আমরা তাহাদের কোনরূপ সাহায্য চাই না। আজ ইহাদের সম্মানও লুপ্তপ্রায়, কাজেক্ট এই দলকে ভয় করিবার কারণ দেখি না। ইহাদের কণ্ঠ ক্ষীণ হইতে ক্ষীণতর হইয়া আসিতেছে। এ দলের পূর্বআধিপত্য ফিরিয়া পাইবার আর বড় সম্ভাবনা নাই । ইলা দেশে যেখানে শিক্ষার বিস্তার হইতেছে, সেইখানেই পণ্ডিতদের প্রভাব কমিয়া আদিতেছে। দেখা যাইতেছে, বাংলার অধিবাসীরা শিক্ষালাভের জন্য অত্যন্ত ব্যগ্র। দেশীয় পণ্ডিতদের মনস্তুষ্টি না করিয়াও আমরা কি করিতে পারি, তাহ দেশের বিভিন্ন অংশে