পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

i স্ত্রীশিক্ষা-বিস্তার מכר ছাত্রী-সংখ্যা কমিয়া যাওয়াতে এবং অন্যান্ত নানা কারণে ১৮৬৭ খ্ৰীষ্টাব্দের মধ্যভাগে বীটন-স্কুল কমিটির মনে বিশ্বাস জন্মিল যে, বিদ্যালয়ের এ অবস্থায় এক বিশেষ অনুসন্ধানের প্রয়োজন । এই কারণে জুলাই মাসে কমিটির এক বিশেষ অধিবেশন হইল। অধিবেশনে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, কুমার হরেন্দ্রকৃষ্ণ দেব ও প্রসন্নকুমার সর্বাধিকারীকে লইয়া এক সাব-কমিটি গঠিত হয়। অতুসন্ধানের ফল সাব কমিটি একটি রিপোর্ট দাখিল করিলেন ( ২৪ সেপ্টেম্বর )। রিপোর্ট-পাঠে বীটন-স্কুলকমিটি সিদ্ধাস্ত করিলেন, যত দিন মিস পিগট্‌ অধ্যক্ষ থাকিবেন, তত দিন বিদ্যালয়ের উন্নতির আশা নাই । কমিটি এ-বিষয়ে বাংলা-সরকারের দৃষ্ট আকর্ষণ করিতে বাধ্য হইলেন। বাংলা-সরকার মিস্ পিগট কে প্রধান শিক্ষয়িত্রীর পদ হইতে সত্বর অপসারিত করিবার প্রস্তাবে সম্মত হইলেন। কিন্তু বীটন-স্কুল-কমিটিকে লিখিলেন :– “ছোট লাটের সঙ্গে পরামর্শ না করিয়া কমিটি যেন অপর শিক্ষয়িত্রী নিযুক্ত না করেন। স্বৰ্গীয় বীটন তাহার বিদ্যালয়ের জন্য বাড়ীখানি দান করিয়া গিয়াছেন। রাজস্ব হইতেও বছরে বছরে বেশ মোট টাকা সাহায্যার্থ দেওয়া হয়। ছোট লাট মনে করেন, স্ত্রীশিক্ষার বিস্তারে বর্তমান অবস্থায় যেরূপ করা হইতেছে, এই-সকল দানের এতদপেক্ষা অধিকতর সদ্ব্যবহার করা যাইতে পারে। স্থলটি একটু ছোট করিয়া, তাহার সহিত শিক্ষয়িত্রীদের জন্য একটি নর্মাল স্কুল যোগ করিয়া দিলে, ছোট লাটের বিশ্বাস, সে প্রয়োজন সিদ্ধ হইতে পারে। এইরূপ করাই যদি শেষে সাব্যস্ত হয়, তাহা হইলে সমস্ত অনুষ্ঠানটিকে শিক্ষা-বিভাগের আরও ঘনিষ্ঠ সংস্রবে লইয়া যাওয়া