পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

} e ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর বিদ্যাসাগর এ বিষয়ে ছোট লাটকে যাহা লিখিয়াছিলেন, তাহার সারাংশ নিয়ে উদ্ধৃত হইল,— “বিলাতে এবং এদেশে এমনই একটা ধারণ জন্সিয়াছে যে, উচ্চ শ্রেণীর শিক্ষার জন্য যথেষ্ট করা হইয়াছে, এখন জনসাধারণের শিক্ষার দিকে মন ফিরাইতে হইবে। শিক্ষা-সংক্রান্ত রিপোর্ট ও মিনিটগুলি অত্যন্ত অহুকুল ভাবের হওয়ায় বুঝা যাইতেছে এই ধারণার স্বষ্টি হইয়াছে। কিন্তু এ-বিষয়ে অনুসন্ধান করিলে ভিন্ন অবস্থার কথা প্রকাশ পাইবে। "একমাত্র কার্যকর উপায় ন হইলেও বঙ্গে শিক্ষা-বিস্তারের শ্রেষ্ঠ উপায়ুস্বরূপ সরকার, আমার মতে, উচ্চ শ্রেণীর মধ্যে ব্যাপকভাবে শিক্ষাবিস্তার-কার্য্যে নিজেকে বদ্ধ রাখিবেন। এক শত বালককে লিখন-পঠন এবং কিছু অঙ্ক শিখান অপেক্ষ একটিমাত্র ছেলেকে উপযুক্তরূপে শিক্ষিত করিয়া তুলিতে পারিলে প্রজাদের মধ্যে প্রকৃত শিক্ষাপ্রচারে সরকার অধিকতর সহায়তা করিবেন। সমস্ত দেশটাকে শিক্ষিত করিয়া তোলা নিশ্চয় বাঞ্ছনীয়, কিন্তু কোন রাজসরকার এরূপ কাৰ্যভার গ্রহণ করিতে অথবা সাধন করিতে পারে কি না সন্দেহ। বলা যাইতে পারে, বিলাতে সভ্যতার অবস্থা অতি উন্নত হইলেও শিক্ষা-বিষয়ে তথাকার জনসাধারণের অবস্থা তাহদের এদেশের ভ্রাতৃগণের অপেক্ষা কোন প্রকারে ভাল নয়।” (২৯ সেপ্টেম্বর ১৮৫৯) ওয়ার্ডস্ ইনষ্টিটিউশন ঃ সাক্ষাৎভাবে এক জন বিশ্বস্ত সরকারী কৰ্ম্মচারীর পরিচালনায় ৮ হইতে ১৪ বৎসর বয়সের নাবালক জমিদারদিগকে একটি স্বতন্ত্র বাটতে একত্র রাখিয়া উপযুক্ত শিক্ষাদানের উদ্দেশ্যে ১৮৫৬ খ্ৰীষ্টাব্দের মার্চ মাসে কলিকাতায় ওয়ার্ডস্ ইনষ্টিটিউশন