পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (তৃতীয় ভাগ).pdf/৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

शॉट्रेकल शत्रून झाड । \\ኃዓ [ ه هود ۹ | জন্য কলিকাতায় অবস্থিতি করিতেছিলেন। র্তাহার মাতার তত্ত্বাবধানে তিনি সাগরদাড়ীর বাড়ীতে থাকিয়া, লেখাপড়া শিখিতে প্ৰবৃত্ত হইয়াছিলেন । তিনি লেখাপড়ায় অমনোযোগী হইলেও মাতা স্নেহাতিশয্যা প্ৰযুক্ত র্তাহাকে কোন কথা বলিতেন না । কিন্তু মধুসূদন লেখাপড়ায় অমনোযোগী ছিলেন না। গুরুমহাশয়ের বেত্রে তিনি দৃকপাত করিতেন না । অপর বালকেরা যে স্থানে যাইতে ভীত হইত, তিনি প্ৰফুল্লাভাবে সেই স্থানে গিয়া বিদ্যাভ্যাধ করিতেন । শিক্ষাক্ষেত্রে তিনি চিরকালই বীরপুরুষ ছিলেন। র্তাহার জীবনী পাঠে জানা যায় যে, জ্ঞানার্জনের জন্য তিনি সমুদয় বিঘ্নবিপত্তিকে পদদলিত করিয়া, কৰ্ম্মক্ষেত্রে অগ্রসর হইতেন। লোক প্ৰসিদ্ধ পণ্ডিতদিগের সমকক্ষ হইবার বাসনা র্তাহার হৃদয়ে বলবতী ছিল । এই প্ৰবল বাসনাস্রোত কিছুতেই নিরুদ্ধ হয় নাই। বাল্যকালে ইহার রেখামাত্র পরিদৃষ্ট হইয়াছিল। যৌবনে ইহা প্রসারিত হইয়া, তঁহাকে বিবিধ ভাষার অনুশীলনে প্ৰবৰ্ত্তিত করিয়াছিল। র্যাহারা সংসারে অভীষ্ট ফললাভের জন্য আটলভাবে বিন্নবিপত্তির সহিত ঘোরতর সংগ্রামে প্ৰবৃত্ত হয়েন, শৈশবেই তঁহাদের চরিত্রে সেই আটলতার নিদর্শন লক্ষিত হইয়া থাকে। রাজপুত বীর শক্তি যখন একখানি নবনিৰ্ম্মিত তরবারির ধার পরীক্ষা করিবার জন্য অমানভাবে আপনার অঙ্গুলি প্রসারিত করিয়া, উহাতে আঘাত করিয়াছিলেন, তখন তঁহার বয়স পাঁচ বৎসরের অধিক ছিল না। পঞ্চবর্ষীয় বালক যে তেজস্বি তার পরিচয় দিয়াছিলেন, সেই তেজস্বিতাই অতঃপর তঁহাকে গরীয়সী। জন্মভূমির গৌরবরক্ষার জন্য উত্তেজিত করিয়াছিল। শক্ত ভ্ৰাতৃদ্রোহী হইলেও চিরস্মরণীয় হলদিঘাটের যুদ্ধের পর জ্যেষ্ঠের পদপ্রান্তে বিলুষ্ঠিত হইয়া, কাতরভাবে ক্ষমা ভিক্ষা করিয়াছিলেন। মধুসূদন অতঃপর যে মানসিক শক্তিতে জ্ঞানার্জনী বৃত্তির পরিচালনা করিয়াছিলেন, সপ্তম বর্ষ বয়সেই তাঁহাতে সেই শক্তির অস্কুর পরিদৃষ্ট হইয়াছিল। কিন্তু শক্ত তেজস্বী বীরের চিরাভ্যস্ত গুণের অবমাননা করেন নাই। মধুসুদন পণ্ডিতোচিত ধীরতার অবমাননা করিয়াছিলেন। তিনি পিতৃদ্রোহী ও মাতৃদ্রোহী হইয়া, পরিধৰ্ম্ম গ্ৰহণ পূর্বক জাতীয় ভাবে বিসর্জন দিয়াছিলেন ; জনক জননীর সেই বাৎসল্য, সেই স্নেহপ্রবণতা, সেই শোকাঞ মনে করিয়া অনুতপ্তহৃদয়ে তঁহাদের পদপ্রান্তে দণ্ডায়মান হয়েন নাই, বা তঁহাদের হৃদয়গত জ্বালা দূর করিবার জন্য কোন কাৰ্য্যের অনুষ্ঠান করেন নাই। রাজপুত চিরকাল বীরধৰ্ম্মে অভ্যস্ত ; আজন্ম বীরব্ৰতের সন্মানরক্ষায় কৃতহস্ত। মতিভ্ৰমপ্ৰযুক্তিই হউক, ক্ৰোধের উত্তেজনাতেই হউক, হিংসার আবেগেই হউক, রাজপুত অবলম্বিত পথে স্বলিত পদ হইলেও, আপনার সেই চিরন্তন নীতিতে, সেই মহীয়সী শিক্ষায় একবারে বিসৰ্জন দেয় না । শক্ত এই শিক্ষার গুণেই বীরত্বের সন্মানরক্ষার জন্য জ্যেষ্ঠ সহোদরের পদানত হইয়াছিলেন। আর মধুসুদন ? মধুসূদনের অদৃষ্টে এরূপ শিক্ষালাভ ঘাঁটিয়া উঠে নাই। অশ্ব যেমন অসংযত হইলে আপথে ধাবিত হয়, মধুসুদনও সেইরূপ অসংযত হইয়া, বিপথে পদাৰ্পণ করিয়াছিলেন। তঁহাকে সুপথে আনিবার জন্য এক জন পরিচালকও