সন ১৩১৩ } 离领河究齐 సి চাইতে গৌড়ে আনাইয়। কারারুদ্ধ করিয়া রাখিলেন এবং বহুসৈন্য সমভিব্যস্থিারে স্বয়ং যাইয়া ময়নাগড় অবরোধ করিলেন। কালুৱ স্ত্রী লখ্য, অপূৰ্ব বীৰত্ব দেখাইয়ু পতিপুত্ৰকে যুদ্ধ BDiBiiB BOi S BBB BB iLiEi BBB BBB BBB iiBii LeiiiD iiBBiS iBi BiiiSi সত্যের এক অভিসন্ধিতে পড়িয়া স্বীয় জীবন সমৰ্পণ করিল ; তখন ডোমরমণী লাখ্যা স্বামিপুত্রের মস্তক লইয়া যাইয়া লাউসেনের পত্নী দিগকে জানাইল, ভঁহাদের যাহাঁ কর্তৃক্য, লাউসেনের লবণের ঋণ শোধ করিবার জন্য তাহারা তাহা করিয়াছে, এখন তাহদের শক্তি নাই, উপায়ান্তর থাকিলে ।রাণীগণের এখন তাহ অবলম্বন করা কীৰ্ত্তব্য। রাণী কলিঙ্গ যুদ্ধে যাইয়া নিহত হইলেন, কিন্তু কালীর বরে কাণভু শত্রুসৈন্তের উপর এক ঘূর্ণাবর্তের ন্যায় পড়িয়া তাহা ছিন্নবিচ্ছিন্ন করিয়া দিলেন, পদুমার বিলের তীরে মহামাদ সম্পূর্ণরূপে পরাস্ত হইলেন ; কাণড়ো শ্বশুর মহাশয়কে অপমানিত করিয়া তাহার শিরোমুণ্ডন ও সমস্ত দেহে কালী লিপ্ত করিয়া পদুমার বিলের অপর তীরে পাঠাইয়া দিলেন ; হনুমান দৈবজ্ঞের বেশ ধারণ করিয়া মহাপাত্রের বাড়ী উপস্থিত হইয়া জানাইলেন, সেইদিন সন্ধ্যাকালে একটা অপুৰ্ব্বমূৰ্ত্তির ভূত সেই বাড়ীতে আসিবে, সে যেন বাড়ীতে প্ৰবেশ করিতে না পারে, প্ৰবেশ করিলে বিশেষ অমঙ্গল । মহামদ সন্ধ্যার অাঁধারে যেমনই বাড়ীতে প্ৰবেশ করিবেন, তেমনই তাতার পুত্ৰগণ আসিয়া তদাবস্থায় তাহাকে চিনিতে না পারিয়া বিষম প্ৰহার করিয়া তাড়াইয়া দিল । মহামদ রাজার নিকট উপস্থিত হইলেন এবং জানাইলেন, ময়নাগড়ে তাহার সমস্ত সৈন্য বিনষ্ট হইয়াছে। এদিকে লাউসেন সামুলার উপদেশানুসারে হাকণ্ডে অতি কঠোর তপশ্চরণ করিলেন, নিজের অঙ্গ বলিস্বরূপ দান করিয়া ধৰ্ম্মঠাকুরের তৃপক্ষা করিলেন। দীর্ঘকালের কৃচ্ছ, ও তপশ্চৰ্য্যার পুণ্যে সহসা অন্তগিরি হইতে সুৰ্য্যদেব ७कर्जा প্ৰফুল্ল হইয়া উদয় হইলেন। বীর হনুমানের চেষ্টায় এই অসম্ভব ব্যাপার সিদ্ধ হইল। যখন মহামদু নানারূপে ব্যর্থমনোরথ হইয়া লাউসেনের উপর ক্ৰোধে জ্বলিয়া পুড়িয়া মরিতেছিলেন, তপন সহসা একদিন গৌড়বাসিগণ দেখিতে পাইলেন, পূর্বের সুৰ্য্য পশ্চিমে উদয় হইয়া শ্যামল শস্যগুলির উপর স্বর্ণ ফলাইয়া তুলিয়াছেন। তখন সেই হাকণ্ড প্রবাসী বীরবারের প্রতি সমস্ত লোকের গভীর কৃতজ্ঞতা অৰ্পিত হইতে লাগিল । এদিকে লাউসেনের শুকপাখী হাকণ্ডে যাইয়া তাহাকে সংবাদ দিল, কালু প্ৰভৃতি ডোমগণ মহাপাত্রের সঙ্গে যুদ্ধে নিহত হইয়াছে এবং তঁহার প্রাণপ্ৰিয়া রাণী কলিঙ্গাও যুদ্ধক্ষেত্রে প্ৰাণত্যাগ করিয়াছেন। জয়ী ও তপঃসিদ্ধ বীরের পাদক্ষেপ বিষাদে মন্থর হইল ; গভীর শোক অন্তরে ধারণ করিয়া কিন্তু বাহে বিকারের চিহ্নমাত্র না দেখাইয়া লাউসেন গৌড়ের অভিমুখে যাত্ৰা করিলেন ; পথে মহাপাত্র তঁহাকে তস্কর বলিয়া ধৃত করাইয়া বাগুলিদেবীর নিকট তাহাকে বলিস্বরূপ দিতে চক্রান্ত করিয়াছিলেন। সেই বিপদ হইতে রক্ষা পাইয়া লাউসেন গৌড়েশ্বরের সভায় উপস্থিত হইলেন। তিনি হাকাণ্ডে যে দুশ্চর তপস্যা সাধন করিয়া সুৰ্য্যদেবকে পশ্চিমে উদিত করাইয়াছেন, তাহা বলতে মহাপাত্র সে সকল কথা
