পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (ষষ্ঠ ভাগ).pdf/৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

1 ه / كl ] বলিয়াছেন। প্ৰবন্ধ বিষয়ে বক্তব্য এই যে, নগেন্দ্র বাবুর প্রবন্ধে অনেক নূতন নৈয়ায়িক ও ন্যায় গ্রন্থের নাম এবং তাহদের হেতু জানা গেল। ইংরাজ অধ্যাপকেরা এতটা সংবাদ রাখেন। কিনা সন্দেহ। এদেশীয় অধ্যাপকের নব্য ন্যায়েরই আলোচনা বেশী করেন, প্ৰাচীন ন্যায়ের এই গ্ৰন্থ রাশির পরিচয় দূরে থাক, নামও বোধ হয় জানেন না। নব্য ন্যায় ইংরাজ অধ্যাপকদিগের প্রিয় নহে। ইংরাজ পণ্ডিতগণের মধ্যে কেহই প্ৰাচ্যদর্শনের আলোচনায় এ পৰ্যন্ত নব্য ন্যায় সম্বন্ধে কিছু লেখেন নাই। নগেন্দ্ৰ বাবু নব্য ন্যায় সম্বন্ধে আজকার মত অনুসন্ধান ও গবেষণা করিয়া যে প্ৰবন্ধ লিখিবেন তাহাতেই বোধ হয় আমাদের কৌতুহল মিটবে। ন্যায় শব্দে শাস্ত্ৰে যখন ন্যায়ও মীমাংস উভয় অর্থই পাওয়া যায় এবং সতীশ বাবু যখন সে সম্বন্ধে কিছু বলিয়াছেন, তখন আগামী বারে নব্য ন্যায় প্ৰবন্ধে ন্যায় শব্দের প্রাচীন ও বর্তমান অর্থের উৎপত্তির এবং তৎশাস্ত্রের পারিভাষিক শব্দের প্রাচীন ও বর্তমান অর্থের বিষয় আলোচনা করিলে ভাল হয় । শ্ৰীযুক্ত বিহারীলাল সরকার বলিলেন, স্বয়ং রঘুনাথ শিরোমণি যে শাস্ত্রের পর পান নাই, সে শাস্ত্রের আলোচনায় তিনি বাদানুবাদ করিতে চাহেন না । বক্তা প্ৰবন্ধপাঠককে অজস্র আন্তরিক ধন্যবাদ দিয়া বলিলেন, যে বিজ্ঞাপনে বুঝিয়াছিলাম ন্যায়শাস্ত্রের ( প্ৰাচীন ও নব্য ন্যায়ের ) দার্শনিক তত্ত্বের ক্রম-বিকাশ লইয়াই আলোচনা হইবে, কিন্তু প্ৰবন্ধলেখক কোন গ্ৰন্থ এবং গ্ৰন্থকার কবে কাহার পূৰ্ব্বে জন্মিয়াছিলেন, এই তর্ক লইয়াই সমস্ত প্ৰবন্ধটা লিখিয়া ছেন, তাহার যুক্তিযুক্ততা সম্বন্ধে তিনি কিছু বলিতে পারেন না, তবে ন্যায়গ্ৰন্থ ও নৈয়ায়িক গ্ৰন্থকর্তার সময় নিরূপণই যে ন্যায়শাস্ত্রের ইতিহাস নহে। ইহাই তাহার বিশ্বাস । কৰ্ম্মবাদ, ভক্তিবাদ ও জ্ঞানবাদের সমন্বয় করিবার জন্যই ন্যায়শাস্ত্রের জন্ম । নগেন্দ্ৰ বাবু এ সম্বন্ধে আলোচনা করেন নাই। নগেন্দ্ৰ বাবু বলিলেন ন্যায়শাস্ত্রের প্রবর্তকের নাম গোতম । পুরাণে পাওয়া যায় বৃহস্পতির অভিশাপে গৌতম অন্ধ হইয়া দীর্ঘতম বা দীর্ঘতপ নামে খ্যাত হন, পরে সুরভির বরে তাহার দৃষ্টিলাভ হইলে তিনি গৌতম নামে খ্যাত হন। এই গৌতম ও গৌতম এক কিনা ? * তঁহার ইচ্ছা এই যে ন্যায়শাস্ত্রের আবার আলোচনা হয়। নব্য ন্যায়ের জন্য ন্যায়শাস্ত্রের অধ্যাপনার জন্য বাঙ্গালা চিরবিখ্যাত। ন্যায় লইয়া আমরা চিরদিন গৌরব করি। সে গৌরবের বিষয়ের যত আলোচনা হয় ততই ভাল। দ্বারভাঙ্গ রাজগণের পুর্বপুরুষ মহেশ ঠাকুর আকবরের সভায় ন্যায়শাস্ত্রের আলোচনায় জয়ী হওয়াতেই পুরস্কার স্বরূপ যে ভূসম্পত্তি পান, তাহাই তদ্বংশীয়গণের বহু বিস্তৃত রাজ্যের বীজস্বরূপ। শ্ৰীযুক্ত সতীশচন্দ্ৰ বিদ্যাভূষণ মহাশয় পুনরায় বলিলেন, গৌতম ও গৌতমে প্ৰভেদ নাই। শ্ৰীযুক্ত দুৰ্গানারায়ণ কবিরাজ মহাশয় বলিলেন, আয়ুৰ্ব্বেদেও পদার্থতিত্ত্বের দার্শনিক ভাবে আলোচনা আছে। নাগাৰ্জনম্বারা সুশ্রাত ২য় বার সংস্কৃত হয়, তাহাতে ত্ৰিবিধ প্ৰমাণ ও ৩২টি তত্ত্ব অবলম্বন করিয়াই পদার্থ বিচার করা হইয়াছে। নাগাৰ্জ্জুন ঈশ্বরবাদী নহেন, প্ৰায় সাংখ্য মতের সহিত একমত। চরক ষটপদাৰ্থবাদী, অভাব পদার্থ স্বীকার করেন