পাতা:সাহিত্য সার .djvu/১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উপক্রমণিকা । ○ মূল ইহা সৰ্ব্ববাদিসম্মত। তৰে বাঙ্গলা, হিন্দী, মহারাষ্ট্রী, তৈলঙ্গী, উড়িয়া প্রভৃতি আধুনিক ভাষাসকল সাক্ষাৎসম্বন্ধে সংস্কৃত হঠতেই উৎপন্ন নহে। বোধ হয় সংস্কৃত ভাষা কোন কালেই আপামর সাধারণ সকলেরই কথাবার্তা কহিবার ভাষা ছিল না। পণ্ডিত ও উচ্চতর শ্রেণীস্থ লোকেরাই সংস্কৃতে কথাবর্তি। কচিতেন । স্ত্রীলোক ও আপামর সাধারণ সকল লোকে ংস্কৃতানুষয়া অপর একটা ভাষায় কথাবাৰ্ত্ত কহিত । ঐ সৰ্ব্বসাধারণ ভাষার নাম প্রাকৃত ভাষা । প্রাকৃত ভাষাও সংস্কৃতেরই অপভ্রংশে উৎপন্ন। প্রাকৃত ভাষাও বহুকালের প্রাচীন ভাষা। বোধ হয় সংস্কৃত ভাষা প্রচলিত হইবার পূৰ্ব্বে অন্য প্রকার ভাষার প্রচার ছিল । সেই ভাষারই সংস্কার করিয়া সংস্কৃত ভাষার উৎপত্তি হয়, ও তাচার কিছুকাল পরেই সৰ্ব্বসাধারণের ব্যবহার র্থ প্রাকৃত ভাষার স্বজন হয় । এই প্রাকৃত ভাষার সহিত বাঙ্গল, হিনী, উড়িয়া প্রভৃতি তাবৎ অধুনাতন ভাষার এতদূর ঘনিষ্ঠতা লক্ষিপ্ত হয়, যে প্রাকৃত ভাষা ইতেই সাক্ষাৎসম্বন্ধে এই সমস্ত ভাষার উৎপত্তি ইহা নিঃসন্দেহ রূপে প্রতিপন্ন ক্তর । বাঙ্গলার বর্ণমালাও দেবনাগরের রূপান্তরমাত্র । বাঙ্গলা ভাষায় এরূপ কথা অনেক আছে, যাহা সংস্কৃত ও প্রাকৃত কোন ভাষা হইতেই উৎপন্ন নহে। “খুচনি” “কুলা” প্রভৃতি বাক্য ইহার দৃষ্টান্তস্থল। ইহাদ্বারা স্পষ্টই প্রতিপন্ন হইতেছে, যে প্রাকৃত ভাষা ও তৎকাল প্রচলিত পাৰ্ব্বতীয় জামিনিবাসীদিগের কোন প্রকার ভাষ৷ এই উভয়ের পরস্পর সংস্রবে ৰাঙ্গল।