যথেষ্ট অর্থ-লুণ্ঠনের অবসর প্রাপ্ত হইলেন। ক্লাইব নিজেই স্বীকার করিয়া গিয়াছেন যে, তাঁহারা মোট ১৫০০০০০ টাকা পাইয়াছিলেন![১]
ক্লাইব এবং ওয়াটসনের যুদ্ধজাহাজ যখন উড়িষ্যার উপকূলের নিকট দিয়া ধীরে ধীরে কলিকাতাভিমুখে অগ্রসর হইতেছিল, তখন একদিন মহাবীর ক্লাইব মহামতি ওয়াটসন্কে ডাকিয়া পরামর্শ করিতে বসিলেন। পরামর্শের বিষয় আর কিছু নহে,বাহুবলে বাঙ্গলাদেশ লুণ্ঠন করিতে পারিলে কে কিরূপ ভাগ প্রাপ্ত হইবেন, তাহারই কথা! ওয়া্টসন্ সুবর্ণদুর্গের দৃষ্টান্ত দেখাইতে চাহিলেন; ক্লাইব তাহাতে সম্মত হইলেন না;—সে যাত্রা ক্লাইবের ভাগ কিছু কম হইয়াছিল। অনেক তর্ক, বিতর্কের পর স্থির হইল যে, সে যাত্রায় যাহা হইবার হইয়া গিয়াছে, এখন হইতে ভাগ হইবে,সমান সমান![২]
যাহারা ক্লাইব এবং ওয়াট্সন্কে বাঙ্গালাদেশে পাঠাইয়াছিলেন, তাঁহারা কোনরূপে কলিকাতার বাণিজ্যাধিকার পুনঃ সংস্থাপনের জন্যই চেষ্টা করিয়াছিলেন; এবং যাহাতে বিনা রক্তপাতে সকল কার্য্য সুসম্পন্ন হইতে পারে, তজ্জন্য দাক্ষিণাত্যের নিজাম এবং আরকটের নবাবের নিকট হইতে সিরাজদ্দৌলার নামে সুপারিশপত্র পাঠাইয়া দিয়াছিলেন। আর সেই সকল আদেশ পালন করিবার জন্য যাঁহারা সসৈন্যে বঙ্গদেশে শুভাগমন করিলেন, তাঁহারা সেনা সাহায্যে বঙ্গভূমি লুণ্ঠন করিয়া কে কত অর্থ লাভ করিবেন, সেই চিন্তা লইয়াই বিভোর হইয়া