অপাঠ্য হইয়া উঠিয়াছিল, না জানি এত দিনে সে গুলি আরও কত জরাজীর্ণ হইয়া উঠিয়াছে![১]
সেকালের লেখকদিগের মধ্যে মুসলমান এবং ইংরাজদিগের গ্রন্থাদিই এখন একমাত্র অবলম্বন;—পর্ত্তুগীজ, ফরাসি এবং ওলন্দাজগণ যাহা কিছু লিখিয়া গিয়াছেন, তাহা এখনও এদেশে সম্পূর্ণ অজ্ঞাত![২]
মুসলমান ইতিহাসের মধ্যে সাইয়েদ গোলাম হোসনের “সায়রউল্—মুতক্ষরীণ,” গোলাম হোসেন সলেমীর “রিয়াজ-উস্সলাতিন,” এবং সাইয়েদ আলির “তারিখ—ই—মন্সুরী” নামক পারস্যগ্রন্থ সবিশেষ উল্লেখযোগ্য।
“মুতক্ষরীণ” ১৭৮৩ খৃষ্টাব্দে সম্পূর্ণতা প্রাপ্ত হয়। হাজিমুস্তাফা নামধারী একজন ফরাসি পণ্ডিত ইহার সর্ব্বপ্রথম ইংরাজি অনুবাদক; তাঁহার অনুবাদে অনেক স্বকৃত টীকাও সংযুক্ত হইয়াছে। গভর্ণরজেনারল ওয়ারেন হেষ্টিংসের প্রাইভেট সেক্রেটারী জোনাথান স্কট্ আর একখানি ইংরাজি অনুবাদ প্রকাশ করেন। লক্ষ্ণৌনিবাসী মুন্সীনওল কিশোরের যত্নে একখানি উর্দ্দু অনুবাদও প্রচারিত হইয়াছে। উর্দ্দু অনুবাদ এবং মুস্তাফার ইংরাজী অনুবাদই মূল গ্রন্থের আনুপূর্ব্বিক অনুবাদ; স্কটের অনুবাদ রীতিমত মূলানুযায়ী বলিয়া গ্রহণ করা যায় না। মূলগ্রন্থ ও এই সকল অনুবাদ দুষ্প্রাপ্য হইয়া উঠিতেছে!
“রিয়াজ উস্—সালাতিন” ১৭৮৭ - ৮৮ খৃষ্টাব্দে সম্পূর্ণতা প্রাপ্ত হয়। ইহার অনুবাদ হয় নাই; এসিয়েটিক সোসাইটীর যত্নে মূলগ্রন্থ মুদ্রিত