পাতা:সুকুমার রায় রচনাবলী-দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৪০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জমির বাদ দেবত হত্যু দৈত্য দেখলে কাক করে ঘড়িটি ধরে পিট্টি,দিতুম হাড়ি মাসে এক করে ॥ ऐप्ल ! অস্ত্রগুলো মর্টে-পড়া অনেক কালের অনভ্যাস এমন হলে লড়বে নাকো স্বয়ং বলেন বেদব্যাস । নারদ । বিষ্ট্ৰ বল আত্মা পাখি । এমন দিনও ঘটল শেষে দৈত্য বেড়ায় বুক ফুলিয়ে দেবতা পালায় ছদ্মবেশে । আসছি ধেয়ে ব্যস্ত হয়ে পয়সা-কড়ি খরচ করে করলে না কেউ খাতির আমায় ডাকলে না কেউ গরজ করে। তোমরা সবাই ডুবে মরো ইন্দ্র তোমার গলায় দড়ি কাতিকেয় মরবে তুমি ঐরাবতের তলায় পড়ি । মরব এবার দেহত্যাগে এ-ভাবে আর থাকছিনে কো এখেনেতেই মূৰ্ছা যাব তোমরা সবাই সাক্ষী থেক। শয়ন ও মূৰ্ছা বৃহস্পতি । ব্ৰহ্মহত্যা আমার ঘরে ও ঠাকুর তোর পায়ে পড়ি মরতে চাও তো বাইরে মর আমরা কেন দায়ে পড়ি ? অশ্বিনী গো বদ্যিমশাই দাড়িয়ে কেন চুপটি করে ঠাকুর হোথা তুলছে পটল বাঁচাও তারে যুক্তি করে। অশ্বিনী-কর্তৃক রোগ পরীক্ষাদি অশিবনী । বদ্যি রাজা ধন্বন্তরি শিষ্য হয়ে সমরণ করি তোমার নামে মন্ত্ৰ পড়ি হাতে নিলাম জ্যান্ত বড়ি প্রেত পিশাচ গুদ্ধি হোক যেই খাবে তার বুদ্ধি হোক রুস্ট বায়ু ক্ষান্ত হও মরা মানুষ জ্যান্ত হও মুক্ত হবে পিত্ত দোষ নিত্য রবে চিত্ত তোষ লুপ্ত নাড়ি শক্ত বেশ উঠবে কো পক কেশ । যুচবে পিলে ছুটবে বাত ফোকলা মুখে উঠবে দাঁত । রান্ত্রি দিনে ফুতি রবে কাতিকেরি মৃতি হবে। কিন্তু যারা মিথ্যা কয় নাইকো যাদের চিত্তে ভয় মিথ্যা রোগের নিত্য ভান ওষুধ তাদের মৃতুবাণ। রোগ যেথা নয় সত্যিকার তোর পরে নাই ভক্তি যার জ্যাম্ভ বড়ি বিষ বড়ি কষ্ঠে তাদের দিস দড়ি নয়কো মে জন শান্ত রকম হয় যেন সে জ্যান্ত জখম— নিত্য কোঙ্গল বন্ধ রবে চক্ষু দুটি অন্ধ হবে, জুলবে গরল তিক্ত ধারা নাচবে রোগী ক্ষিপ্ত পারা গণ্ডে ফোঁড়া তুণ্ডে বাত ভণ্ডজনের মুণ্ড পাত । ও বড়ি তুই নিদান কর বিচার বুঝে বিধান কর কপট রোগী খবরদার ওষুধ আমার সমঝদুরি। মারদের গাঙ্গোথান মারদ । গা-ঝিমঝিম মাথা ঘোরা এক্কেবারে কেটে গেল মূৰ্ছ আমার আপনি সারে ওষধটা কেউ চেটে ফেন্ধ । मल्लेिख J नू. ज, ब्र,-२-68 হায় রে হায় কলির ফেরে দেবতা শুরু ভোগ না পায় যার লাগি লোক চুরি করে চোর বলে সে চোখ পাকায় । তোদের ভেবেই শরীর মাটি রাত্রে আমার ঘুমটি নেই তোদের ছেড়ে জগৎ যেন ব্যঞ্জনেতে নুনটি নেই। তোদের তরেই মূৰ্ছা গেলাম, তোদের তরেই প্রাণটি ধরি তোরাই আমার মাথার মানিক তোরাই আমার কলসী দড়ি। এই কি তোদের দেবতাগিরি এই কি সাহস জুলন্ত । দুয়ো দেবতা দুয়ো ইন্দ্র দেবতা কুলের কলঙ্ক । গান বীণা রে এই কি রে তোর সেই সনাতন দেবতা এর বৃহস্পতি । রাখ তোমার বকর বকর ভগ্ন টেকির কচকচি মিথ্যে তুমি পেঢ়াল পাণ্ডু বাক্য ঝাড় দশগজি ঐদিকে যে বিশ্ব ডোবে বাণ ডেকেছে সৃস্টিতে লুটিয়ে গেল চুকিয়ে গেল শব্দ বাণের বৃস্টিতে । অর্থ হারা শবদ ফেরে স্থাবর হতে জঙ্গমে বিশ্বব্যাপার উধাও হল শবদ সাগর সঙ্গমে ঘূণি পাকের ছন্দ জাগে গুপ্তগভীর গর্জনে মুক্ত কৃপাণ শক্তি মাতে অর্থ মহিষ মদনে । আদ্যিকালের বাদি বাজে স্বৰ্গ-মর্ত্য ফঙ্কিকার ধাক্কা লাগে গোলকধামে রোধ করে তায় শক্তি কার । শবদ ধারার বর্ষা যেন কৃষ্ণ ভাদ্র অষ্টমী শীঘ্ৰ দেখ ছিদ্র খুঁজে কার এ সকল নস্টাম ॥ গুরুজি । ওরে বাস্ রে । এমনি ব্যাপার ? আর কি আছে রক্ষে ? আরেক টুকুন সবুর কর দেখবে ধোঁয়া চক্ষে মন্ত্র নাচে ছন্দ নাচে শবদ নীচে রঙ্গে বুকের শব্দ শোষণ করে রক্ত ধারার সঙ্গে দেখবে ক্ৰমে শবদ জমে হাত-পা হবে ঠাণ্ডা শক্ত কঠিন শবদ দিয়ে মারবে মাথায় ডাণ্ডাঅর্থ বাধন হড়কো ভেঙে শব্দ এল পশ্চিমে যার খুশি হয় বসে থাক আমরা দাদা বসছিনে ॥ সকলের প্রস্থান তৃতীয় দৃশ্য স্বৰ্গপথে সশিষ্য গুরুজি—-বহু পশ্চাতে বিশ্বম্ভর বিশ্বকমা । আদিকাল হতে বিশ্ব ফিরে মহাচক্ৰ পথে, চক্লে চলে জলস্থল, চক্রে ঘোরে ভূমণ্ডল সেই চক্রে চির গণ্ডি ঘেরা শৰদ করে চলা ফেরা । মহাকাল ফিরে শূন্যে বস্তুরাপ মাগি, স্পর্শ তার শব্দ ওঠে জাগি 80%