একটা কথা জিগেস করি, পথের ব্যাঙ্গমা দাদার সঙ্গে তোমার দেখা। হয়নি কি।
হাঁ, হয়েছিল বই কি।
কী রকম।
ঝাউগাছের উপর থেকে নিচে এসে খাড়া হয়ে দাঁড়াল। বললে, পুপে দিদিকে কে চুরি করে নিয়ে যায়। শুনে খরগোষ এমন দৌড় দৌড়ল যে ব্যাঙ্গমা দাদা পারল না তাকে ধরতে।
আচ্ছা তারপরে।
কার পরে।
খরগোষ তো নিয়ে গেল, তারপরে কী হোলো বলো না।
আমি কী বলব। তোমাকেই তো বলতে হবে।
বাঃ আমি তো ঘুমিয়ে পড়েছিলুম, কেমন করে জানব।
সেই তো মুস্কিল হয়েছে। ঠিকানাই পাচ্চিনে কোথায় তোমাকে নিয়ে গেল। উদ্ধার করতে যাই কোন্ রাস্তায়। একটা কথা জিগেস করি, যখন রাস্তা দিয়ে তোমাকে নিয়ে যাচ্ছিল ঘণ্টা শুনতে পাচ্ছিলে কি।
হাঁ হাঁ, পাচ্ছিলুম, ঢং ঢং ঢং।
তাহোলে রাস্তাটা সোজা গেছে ঘণ্টাকর্ণদের পাড়া দিয়ে।
ঘণ্টাকর্ণ। তারা কী রকম।
তাদের দুটো কান দুটো ঘণ্টা। আর দুটে। ল্যাজে দুটো হাতুড়ি। ল্যাজের ঝাপটা দিয়ে একবার এ কানে বাজায় ঢং, একবার ও কানে বাজায় ঢং। দুজাতের ঘণ্টাকর্ণ আছে, একটা আছে হিংস্র, কাঁসরের মতো খন্খন্ আওয়াজ দেয়, আর একটার গম্গম্ গম্ভীর শব্দ।
তুমি কখনো তার শব্দ শুনতে পাও, দাদামশায়।
পাই বই কি। এই কাল রাত্তিরেই বই পড়তে পড়তে হঠাৎ শুনলেম
৯৫