পাতা:সোনার চেয়ে দামী (প্রথম খণ্ড) - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যেচে কতজনকে কৈফিয়ৎ দেওয়া যায় ? তার কি আর কাজ এনেই, ঝনঝাট নেই, দুর্ভাবনা নেই। এর চেয়ে একটা কাগজে লিখে গায়ে এটে রাখাই সোজা-গায়ণা আমার বিক্ৰী হয় নি। ‘গো, তোমরা যা ভাবছি সত্যি নয় । কিন্তু কেন এই অস্বস্তি ? এই লজাবোধ ? এত তার -খারাপ লাগবে কেন ? একথাও সাধনা ভাবে । গুণহীন অপদাৰ্থ মানুষ তো রাখাল নয়। নিজের খেয়াল খুন্সীতে সে তো বেকারত্ব বরণ করে ঘরে বসে নেই। বাপের জমিদারি বা নিজের যথা সর্বস্ব বদখেয়ালে উড়িয়ে “দিয়ে সে তো এই দুরবস্থা ডেকে আনে নি। খাটতে সে "অরাজী নয়। যেমন প্ৰাণপণে খেটে কলেজে। সে কাজ করার যোগ্যতা অর্জন করেছিল। তেমনি মন দিয়ে প্ৰাণপণে খেটে সে করে যাচ্ছিল অফিসের কাজ । বিনা দোষে ছাটাই হওয়ার জন্য সে তো দায়ী হতে পারে না । অলস হয়ে সে বসেও নেই। কাজের খোজে ঘোরাটাই তার দাড়িয়ে গেছে প্ৰাণান্তকর খাটুনিতে, সেই সঙ্গে চালিয়ে যাওয়া তিনটে টিউসনি। এত চেষ্টা করেও কাজ না পেয়ে হারটা যদি নিরুপায় হয়ে বেচেই SYB gY S DBDDSSYzTD SDDD S DBBDBBYS SDBDBD SYDB DL খারাপ লাগার কি আছে ? আজ তো সকলেরই এর কম দুরবস্থা। নিছক পেটের জন্য আর একেবারে উলঙ্গ হওয়া ঠেকাবার জন্য কত লোকে শেষ সম্বলটুকুও বেচে দিচ্ছে । তারাও নয়। সেই দলে ভিড়েছে ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায় হোক ।