ֆՎան ঈশান সৰ্ব্ববিদ্যানাং যং তদীশানমুচ্যতে ॥৪৪ | যদীক্ষতে চ ভগবান নিরীক্ষয়তি চাস্তথা। আত্মজ্ঞানং মহাদেবো যোগে গময়তি স্বয়ম্। ভগবাংশ্চোচ্যতে তেন দেবেদেবে মহেশ্বরঃ সৰ্ব্বাঙ্গে কান ক্রমেণৈব যে গৃহাতি মহেশ্বরঃ বিহুজত্যেয দেবেশে বাসয়ত্যপি লীলয় ॥৪৭ এষ ছি দেবঃ প্রদেশে। মু সৰ্ব্বা: পূৰ্ব্বে হিজাত: স উ গর্ত অন্তঃ । ৪৮ স এব জাত: স জনিষ্যমাণ; প্রত্যঞ্জনাস্তিষ্ঠতি সৰ্ব্বতোমুখ: | ; উপাসিতব্যং যত্নেন তদেতৎ সক্তিরঞ্জিয়ম ॥৪৯ । লতে বাচো নিবৰ্ত্তস্তে অপ্রাপ্য মনসা সহ । তদগ্রহণমেবেহু যদ্বাগৃ বদতি যত্নতঃ ॥৫০ অপরঞ্চ পরঞ্চেতি পরায়ণমিতি স্বয়ম্। বদন্তি বাচ সৰ্ব্বজ্ঞং শঙ্করং নীললোহিতম্ ॥৫১ এষ সৰ্ব্বে নমস্তস্মৈ পুরুষঃ পিঙ্গল: শিবঃ , স এক স মহাকন্দ্রে বিখং ভূতং ভবিষ্যতি ॥৫২ তিনি সৰ্ব্ববিদ্যার ঈশ্বর, এইজন্ত তিনি ঈশান নামে কথিত । সেই ভগবান, আপনি তত্ত্ব দর্শন করেন, অথচ অস্তকে অন্ত প্রকার দর্শন করান এবং সেই মহাদেবই স্বয়ং যোগৰূপে আত্মজ্ঞান প্রদান করেন, এইজস্থা দেবদেব মহেশ্বর ভগবান নামে কথিত । এই মহেশ্বল্প ক্রমেই সৰ্ব্বলোক গ্রহণ এবং ! সৰ্ব্বলোক বিসর্জন করেন ; আর লীলাক্রমে | ইনিই তাহাদিগকে স্থাপন করেন । সেই দেবদেবই সৰ্ব্বাদশ্বব্যাপী, তিনিই ভূত-ভৰিষ্যৎ-বর্তমানস্থায়ী। তিনিই প্রত্যগাত্মরূপে এবং অন্তর্বাহে অবস্থিত। তিনি সৰ্ব্বতোমুখ । বাক্য ও মন যাহাকে না পাইয়া নিবৃত্ত হয়, সেই অপ্রিয় তত্ত্বকেই যত্নসহকারে উপাসনা করা উচিত । “তিনি গ্রহণের অযোগ্য” বাক্য যত্নসহকারে এই কথ। প্রকাশ করে। তিনি পর, অপর এবং পরায়ণ । বাক্য প্তস্থাকে সৰ্ব্বজ্ঞ শঙ্কর ও নীললোহিত নামে প্রকাশ করে । এই পিঙ্গল পুরুষ শিবই সৰ্ব্ব, তাহাকে নমস্কার। সেই এক মহারুজই সৌরপুরাণম্ । ভুবনং বহুধা জাতং জয়মনমিতস্ততঃ । হিরণ্যবাহুর্ভগবান হিরণ্যমপি চেশ্বরঃ ॥৫৩ অম্বিকাপতিরীশানে হেমরেতা বৃষধ্বজঃ । উমাপতিবিরূপাক্ষে বিশ্বভু শ্বশ্ববাহনঃ ৫৪ ব্ৰহ্মাণং বিদধে যোহসেী পুত্রমগ্নেঃ সনাতনম্। প্রহণোতি স্ম তস্মৈ চ জ্ঞানমাত্মপ্রকাশকমৃ। তমেকং পুরুষং রুদ্রং পুরুহূত্রং পুরুষ্টুতম্ ॥৫৫ বালগ্রমাত্ৰং হৃদয়স্ক মধ্যে বিশ্বদেবং বহ্নিরূপং বরেণ্যম্। তমাত্মস্থং যেহুমুপশুস্তি ধীরাস্তেষাং শান্তি: শাশ্বতী নেতরেযাম্ ॥ ৫৬ মহুতোহপি মহীয়ান স অণেরপ্যপুরব্যয়: । গুহায়াং নিহিতশাত্মা জন্তেীয়স্থ মহেশ্বর: ॥৫৭ বিশ্বং ভূতঞ্চ বিশ্বস্ত কমলং স্যাদ্ধান স্বয়ম্। গহবরং গগমান্তস্থং বিশ্বাস্তশ্চোদ্ধত: স্থিতম্ ॥ তত্ৰাপি শুভ্রং গগনমোঙ্কীরং পরমেশ্বরম। বলাগ্রমাত্ৰং মধ্যস্থমুতং পরমকারণম্ ॥৫৯ বিশ্ব, তিনি অতীত এবং ভবিষ্যৎ ; তিনি উৎপন্ন এবং উৎপৎস্তমান ভুবনস্বরূপে নানা প্রকারে অবস্থিত। সেই বৃষধ্বজই হিরণ্যবাহু, ভগবান ঈশ্বর, অম্বিকাপতি, ঈশান, হিরণ্যরেতা এবং হিরণ্য। তিনি উমাপতি বিরূপক্ষ, বিশ্বভোগী এবং বিশ্ববাহন । যিনি অগ্নি হইতে সনাতন ব্রহ্মাকে উৎপাদন করিয়াছেন এবং আত্মপ্রকাশ জ্ঞান তাহাকে দিয়াছেন, সেই একমাত্র পুরুহুত পুরুষ্টুত হৃদয়মধ্যে কেশীগ্রপরিমাণে অবস্থিতি বহিরূপী বরেণ্য অজুস্থিত বিশ্বদেবকে যে ধীরগণ দর্শন করেন,তাহদের নিত্য শান্তি হয় ; অপরের হয় না।৪৩–৫৬। তিনি মহৎ হহঁতেও মহীয়ান, অণু হইতেও অণু, সেই মহেশ্বরই আত্মস্বরূপে প্রাণিগণের হৃদয়গুছায় সংস্থিত। তিমি বিশ্ব ও ভূতস্বরূপ অথচ বিশ্বন্ধদরাবন্বিত । পদ্মও তিনি । তিনি গহবর (হৃদয়) এবং গগনমধ্যস্থ (হৃদয়াকাশস্থিত), আর তিনিই বিশ্বের অভ্যস্তরে ও উদ্ধে স্থিত। যে পরমেশ্বর নিৰ্ম্মল গগনাত্মক ওঙ্কার ; যিনি কেশ ।
