": 3 কালিদাস উপন্যাস । সম্পূর্ণ অধিকার দেওয়া, যাহার বিরুদ্ধে চেষ্টা করা তাহার পক্ষে এই কথা । কিন্তু আমাদের দেশের আইন, আমাদের দেশের লোকাচার, অামাদের.দেশের শাস্ত্র স্ত্রীর উপর স্বামীর যে অধিকার দেয়, তাই কঠোরতম দাসত্ব ভিন্ন, আর কিছুই নহে । বাল্য বিবাহ দ্বারা পিতা মাত কন্যাকে চির দিনের জন্য এই দাসত্ব বন্ধনে বদ্ধ করিয়াছেন । অবশ্য এতদ্বারা আমার ইহ। বলিবার অবিশ্ব ক নহে, যে সকল স্ত্রী, সকল স্বামীর নিকট ক্রীত দাসের স্যায় দব্যবহার প্রাপ্ত হইয় থাকেন । বরং অনেক স্থলে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে গভীর প্রীতির সস্বন্ধ দেখিতে পাই, অনেকস্থলে স্ত্রীর প্রতি স্বামীর সদ্ব্যবহার ও প্রীতি দেখিতে পাওয়া যায় বলিয়। যুক্তি একটুও হীন বল হয় না । দাসত্বের ইতিহাস পাঠ । করিলে আমরা ক্রীত দাসের সহিত প্রভুর গভীর বন্ধুত্বের, দাসের প্রতি প্রভুর সমেহ ব্যবহারের শত শত দৃষ্টাস্ত দেখিতে পাই, তদ্বারা কি দাসত্ব প্রথার স্তায় যুক্ততা প্রমাণিত হয়, ইহা কেবল চৰ্ম্মাৱত ক্ষত স্থানে ব স্যায় রোগ নির্ণয়ের ব্যাঘাত জন্মায় মাত্র । যদি কোন কোন ঘটনার এরূপ সদ্ব্যবহার না হইত, তাহা হইলে ই হার ন্যায় বিরুদ্ধতা সকলেরই নিকট প্রতীয়মান হইত ও ইহার সংস্কারে ও এরূপ ব্যাঘাত হইত না । দাসত্ব প্রথার প্রকৃত দোষের স্থান ইহা নহে যে কোথাও অত্যাচার হয় কি না, কিন্তু অত্যাচারের সম্ভাবনা আছে কি না, প্ৰভু ইহা করিলে দলকে বা স্বামী ইচ্ছা করিলে স্ত্রীকে অত্যাচার করিতে পারে কি না, দেশের আইন, লো কাচার বা শাস্ত্র, প্ৰভু বা স্বামীকে এরূপ অত্যাচারের অধিকার দেয় কি না, আমাদের দেশে স্ত্রীর শরীরও মনের উপর, স্বামীর অধিকারের ইয়ত্ত নাই, স্বামীর স্বাহ ইচ্ছ। হয় করিতে পারেন, স্ত্রীর তা হাতে কোন কথা কহিবার অধিকার নাই, যদি স্বামীর কোন কাধ্যে স্ত্রীর আপত্তি থাকে, যদি স্ত্রীর
