পাতা:হারানো খাতা - অনুরূপা দেবী.pdf/১৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

ষোড়শ পরিচ্ছদে

মনের আবেগে উড়িতে চায়,  অক্ষম পাখা পড়িয়া যায়,
বেড়ে ওঠে শুধু হাহাকার।

—তীর্থরেণু

 নরেশচন্দ্রকে বিমনা ও ব্যথিত করিতেছিল সুষমার এই চিঠিখানা।

 প্রণাম শতকোটী নিবেদন

 পুজ্যতমেষু!

 সেদিন ডাকাইয়া আনিয়া সবকথা আপনাকে আমার বলা ঘটে নাই এবং সামনে বলার ভরসা না রাখিয়াই তাই আজ পত্রে সে কথা জানাইতে বসিয়াছি। এই সাহস ঔদ্ধত্য ও ধৃষ্টতার জন্য চরণে সহস্রবার ক্ষমা প্রার্থনা করিলাম। শিশুপালের শত অপরাধের চেয়ে বেশী স্বয়ং ভগবানের অবতার কৃষ্ণ ক্ষমা করিতে পারেন নাই; আর আপনি তো আমার সহস্র অপরাধকেও সহ্য করিয়া লইয়াছেন, তাই ভরসা আরও না লইয়া থাকিতে পারিবেন না.........

 সেদিনও আপনাকে জানাইয়াছিলাম, আমার বর্ত্তমান জীবনযাত্রার পদ্ধতি আমার পক্ষে অসহনীয় বোধ হইতেছে। পাখীকে খাঁচায় পুরিয়া মানুষে তার স্বাধীন জীবনের পক্ষে একান্ত অসম্ভব বিলাসে আদরে তাহাকে ভরাইয়া দিয়াও যেমন তার স্বাধীনতার স্মৃতিকে ভুলাইয়া দিতে পারে না, মানুষের মনকেও তেমনি তার পক্ষে দুষ্প্রাপ্য শান্তির ও অজস্র সুখের নীড়ে প্রতিষ্ঠিত করিয়াও বুঝি তাহার উদ্দাম উন্মুক্ত স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষাকেও রোধ করিতে পারা দায় হয়। তার মন যখন কর্ম্মের জন্য উন্মুখ হইয়া উঠে, তখন বিশ্রাম শয্যা তার