ষড়্বিংশ পরিচ্ছেদ
তোমার সে আশায় হানিব বাজ,
জিনিব আজিকার রণে
রাজ্য ফিরি দিব হে মহারাজ।
হৃদয় দিব তারি সনে।
নরেশ নিজের পাঠাগারে বসিয়া একখানা বই খুলিয়া রাখিয়াছেন, কিন্তু ভাবিতেছিলেন তিনি সুষমারই কথা। সাধুজী ও নিরঞ্জনের সঙ্গে সুষমা অযোধ্যা যাইতেছে। সেখানে সাধুজী যে আশ্রমের ভিত্তি স্থাপন করিতেছেন তাহাই সুষমার পক্ষে সর্ব্বাপেক্ষা নিরাপদ স্থল। নরেশ অনেকখানি হাঁপ ছাড়িলেন। ঐ দুজন লোককে তিনি একার্য্যের যথার্থ উপযুক্ত শুদ্ধচিত্ত বলিয়াই জানেন। মনে মনে তাঁদের কার্য্যের সফলতার কামনা করিলেন, মনে মনে সুষমাকে আশীর্ব্বাদ করিয়া বলিলেন, “এজন্মটা তোমার এই রকম করেই কাটিয়ে নাও, এবার যেন নিরাপদ হও, শান্তি পাও।”
উহাদের আর কর্ম্মের জন্য সাধুজী তাঁহার নিকট চাঁদা চাহিয়াছেন। তিনি একখানা চেকবই টানিয়া লইয়া দশ হাজার টাকা সই করিলেন, টাকাটা সমিতির ধনভাণ্ডারে জমা দেওয়া হইবে।
পরিমল ঘরে ঢুকিয়া কথা কহিলে নরেশ চমকিয়া উঠিলেন, অশ্রু পরিপ্লুত এবং কি ভাঙ্গিয়া পড়া সে কণ্ঠস্বর।