পাতা:হিন্দু আইন -বিভূতিভূষণ মিত্র.pdf/১৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SQ o হিন্দু আইন—মিতাক্ষর নিয়ম খাটিবে। ঐ সম্পত্তি দুই ভ্রাতাই একত্রে ভোগ করিবে, কিন্তু তাহাদের পুত্ৰগণ পিতার জীবিতকালে কোন দাবী করিতে পারিবে না । পক্ষান্তরে, যদি দুই ভ্রাতার মধ্যে একজনের অপুত্রক অবস্থায় স্ত্রী রাখিয়া মৃত্যু হয়, তাহা হইলে ঐ মৃত ভ্রাতার সম্পত্তি তাহার বিধবা স্ত্রী পাইবে না, জীবিত ভ্রাতাই পাইবে ( ২৩ মাদ্রাজ.৩৭৮ প্রিভি কৌন্সিল ) । যিনি সম্পত্তি অর্জন করেন, তাহার হস্তে যতদিন সম্পত্তি থাকে, ততদিন উহ। তাহার স্বোপাজ্জিত সম্পত্তি বলিয়া গণ্য হয়, এবং তাহার জীবিত কালে পুত্ৰগণ কোন অংশের দাবী করিতে পারে না। কিন্তু র্তাহার মৃত্যুর পর তাহার পুত্রদের হস্তে যখন সম্পত্তি পড়িবে, তখন তাহ তাহাদের পক্ষে পৈতৃক সম্পত্তি বলিয়া গণ্য হইবে, এবং তখন হইতে পৈতৃক সম্পত্তির নিয়মগুলি প্রযোজ্য হইবে (রাজ মোহন বঃ গৌর মোহন ৮ মূরস ইণ্ডিয়ান আপীলস ৯১ ) । এজমালি সম্পত্তির অংশীগণ সকলেই সম্পত্তি বিভাগের জন্য দাবী ও নালিস করিতে পারেন । পুত্র তাহার পিতার বিরুদ্ধে বা পিতৃব্যের বিরুদ্ধে নালিস করিতে পারে ; কিন্তু তাহার পিতা ও পিতৃব্য যৌথরূপে থাকিতে ইচ্ছা করিলে সে শুধু পিতা হইতে পৃথক হইতে পারে, পিতাকে ও পিতৃব্যকে পৃথক হইতে বাধ্য করিতে পারে না। সে তাহার পিতা জীবিত থাকা কালে পিতামহের বিরুদ্ধে বিভাগের দালী করিতে পারে না । এজমালী পরিবারের মধ্যে যিনি সৰ্ব্বাপেক্ষা জ্যেষ্ঠ তিনই (যথা পিতা, বা পিতৃব্য বা জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা) কৰ্ত্তাস্বরূপ এজমালী সম্পত্তির তত্ত্বাবধান করিয়া থাকেন। সম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষণ সম্বন্ধে তাহার ক্ষমতা খুব অধিক। এজমালী পরিবারের উপকারার্থে তিনি সম্পত্তির আয় হইতে নিজের বিবেচনামত ব্যয় করিতে পারেন, এমন কি সমুদয় আয়ের টাকা ব্যয় করিতে পারেন, তাহাতে কেহ তাহাকে বাধা দিতে পারে না।