পাতা:হিন্দু আইন -বিভূতিভূষণ মিত্র.pdf/২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

s* शिन्मू आहेन বাক্য অনুসারে বঙ্গদেশে বহু মোকদ্দমায় স্থির হইয়াছিল যে একমাত্র পুত্রকে দত্তকগ্রহণ করা অসিদ্ধ (উপেন্দ্রলাল বঃ রাণী প্রসন্নময়ী, ১ বেঙ্গল ল রিপোর্ট ২২১)। কিন্তু ১৮৯৮ সালে প্রিভিকেন্সিল দুইটা মোকদমায় স্থির করিলেন যে, ঐ শাস্ত্রবাক্যগুলি সামান্ত নিষেধস্থচক উপদেশবাক্য, মাত্র, অবশু-প্রতিপাল্য আদেশবাক্য নহে ; স্বতরাং একমাত্র পুত্রকে দত্তকগ্রহণ করা সিদ্ধ ( ২২ মাত্রাজ ৩৯৮ ; ২১ এলাহাবাদ ৪৬০ ) । কোনও ব্যক্তি র্তাহার জ্যেষ্ঠ পুত্রকে দত্তকরূপে দান করিতে পারেন। ( জানকী বঃ গোপাল, ২ কলিকাতা ৩৬৫ ) । জন্মান্ধ, জন্মমূক, জন্মবধির, কুষ্ঠগ্রস্ত বা উন্মাদগ্ৰস্ত বালককে দত্তকগ্রহণ করা যায় না, কারণ যে উদ্দেশ্যে ( পিগুদান ও উত্তরাধিকার ) দত্তকগ্রহণ করা যাইতেছে, তাহা এই বালক দ্বারা সাধিত হইতে পারে না । দত্তকগ্রহণে কি কি ক্রিয়া অবশ্যক । যে বালককে দত্তকগ্রহণ করা হইবে তাহাকে প্রদান ও গ্রহণ করা আবশ্যক । বালকের পিতা ও মাতা স্বহস্তে দান করিবেন, এবং দত্তকগ্রহীতা স্বহস্তে তাহাকে গ্রহণ করিবেন। এই আদানপ্রদান ব্যাপারটা সাধিত হওয়া বিশেষ আবশ্যক, নচেৎ দত্তকগ্রহণ সিদ্ধ হইবে না । কাৰ্য্যতঃ আদান ও গ্রহণ করা চাই ; শুধু মুখের কথায় বা লিখনক্রমে “আমি দান করিলাম” ও “আমি গ্রহণ করিলাম” বলিলে চলিবে না ( মণ্ডিত বঃ ফুলচাদ, ২ কলিকাতা উইকলি নোটস ১৫৪ ; ঈশ্বরীপ্রসাদ বঃ হরিপ্রসাদ, ৬ পাটনা ৫০৬ ) । অথবা “আমি আমার পুত্রকে দান করিলাম, আপনি যখন ইচ্ছা তাহাকে শাস্ত্রাকুলারে গ্রহণ করিবেন? এইরূপ বলিয়া দত্তকদাতা একটা দলিল সম্পাদন করিয়া দিলেই দত্তকগ্রহণকার্ধ্য সম্পন্ন হয় না ( শশিনাথ বঃ কৃষ্ণকুন্দরী, ৬ কলিকাতা ২৮১ )।