পাতা:হিন্দু আইন -বিভূতিভূষণ মিত্র.pdf/৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

९8 হিন্দু আইন দত্তকগ্রহণ যদি অসিদ্ধ হয়, তাহ হইলে দত্তকপুত্র দত্তকগ্রহীতার পরিবারে কেবলমাত্র ভরণপোষণ পাইবে ; আবার কোন কোন শাস্ত্রকার বলেন যে, দত্তকগ্রহীতার গৃহে আসিয়া যদি তাহার বিবাহ বা উপনয়ন, সম্পন্ন না হইয়া থাকে, তাহা হইলে সে আপন পিতৃগৃহে ফিরিয়া যাইবে কিন্তু যদি তাহ সম্পন্ন হইয়া গিয়া থাকে, তাহা হইলে সে আপন পিতৃগৃহে ফিরিয়া যাইতে পারিবে না, দত্তকগ্রহীতা তাহাকে ভরণপোষণ করিবেন। দত্তকগ্রহণ একবার সিদ্ধরূপে সম্পন্ন হইলে আর কেহ তাহা রদ করিতে পারেন না। দত্তকপুত্রও ইচ্ছা করিলে আর স্বীয় পিতৃগৃহে ফিরিয়া যাইতে ও পিতার সম্পত্তিতে উত্তরাধিকারী হইতে পারে না , তবে সে ইচ্ছা করিলে দত্তকগ্রহীতা-পিতার সম্পত্তি লইতে অস্বীকার করিতে পারে ( ১৯ বোম্বাই ২৩৯ )। ৬ । অন্যান্ত কথা । দত্তকগ্রহণ ব্যাপারে দাতা এবং গ্রহীতা এই উভয় পক্ষের স্বাধীন সম্মতি থাকা প্রয়োজন। কোনও পক্ষের প্রতি প্রবঞ্চনা, ভয়প্রদর্শন, বলপ্রকাশ, বা অবৈধ ক্ষমতাপ্রয়োগপূর্বক দত্তকগ্রহণ হইলে ঐ পক্ষ তাহা অসিদ্ধ করাইতে পারেন (চুক্তি আইন, ১৯ ধারা)। যদি দত্তকগ্রহীতা দত্তকদাতাকে অর্থ দিবেন বলিয়৷ চুক্তি করিয়া দত্তকগ্রহণ করেন এবং পরে অর্থ না দেন, তাহা হইলে দত্তকগ্রহণ অসিদ্ধ হইবে না বটে ; কিন্তু সেই টাকার জন্য দত্তকদাতা গ্রহীতার বিরুদ্ধে নালিশ করিতেও পারিবেন না, কারণ ঐ টাকা দিবার চুক্তি বে-আইনী ও অসিদ্ধ (চুক্তি আইন, ২৩ ধারা)।. ' ' . কোনও দত্তকগ্রহণ অসিদ্ধ সাব্যস্থ করাইবার জন্য নালিস করাইতে হইলে, বাদী যে তারিখে দত্তকগ্রহণের কথা জানিতে পারেন সেই তারিখ হইতে ৬ বৎসরের মধ্যে নালিস করিতে হইবে (তামাদি 'আইন, ১১৮