পাতা:হিন্দু আইন -বিভূতিভূষণ মিত্র.pdf/৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিবাহ \OO কিন্তু এ সকল বিষয়েও আদালত প্রধানত: কন্যার ভবিষ্যৎ মঙ্গলের প্রতি দৃষ্টি রাখিবেন। যদি আদালত দেখেন যে, পিতা একটা অযোগ্য পাত্র নির্বাচন করিয়াছেন এবং ভ্রাতার নির্বাচিত পাত্র তাহ অপেক্ষা যোগ্যতর, তাহা হইলে আদালত কখনও ভ্রাতার নির্বাচন রহিত করিয়া পিতার নির্বাচন স্থির রাখিবেন না । আর একটী উদাহরণ পূর্বেই দেওয়া হইয়াছে যে, পিতা অযোগ্য পাত্র নির্বাচন করিলে মাতা তাহাকে আদালতের নিষেধাজ্ঞা দ্বারা নিবৃত্ত করিতে পারেন (২ কলিকাতা উইকলি নোটস ৫২১ ) । কিন্তু বিবাহ সম্পন্ন হইয় গেলে পর, তখন আর আদালত অভিভাবক সম্বন্ধে কোনও প্রশ্ন লইয়া হস্তক্ষেপ করিবেন না । তাহার কারণ এই যে, হিন্দুশাস্ত্র অনুসারে বিবাহ একটী অবিচ্ছেদ্য ধৰ্ম্মসম্বন্ধ , সুতরাং বিবাহ হইয়া গেলে পর আদালত তাহাতে হস্তক্ষেপ করিলে এবং বিবাহ অসিদ্ধ সাব্যস্ত করিলে কন্যার সামাজিক অবস্থা বড়ই শোচনীয় হইয় পড়ে, সমাজে তাহার দাড়াইবার স্থান থাকে না ( ২২ বোম্বাই ৮১২ ) । সুতরাং যদি কোনও কন্যার পিতা বৰ্ত্তমানে এবং পিতার ইচ্ছার বিরুদ্ধেও মাতা বিবাহ দেন, এবং ঐ বিবাহ-ক্রিয়া যদি শাস্ত্রমতে সম্পন্ন হইয়া গিয়া থাকে, তাহা হইলে আদালত তাহাতে আর হস্তক্ষেপ করিবেন না ( ১১ বোম্বাই ২৪৭ ) । এমন কি, যদি পিতার ইচ্ছার বিরুদ্ধে মাতা বিবাহ দিতে উদ্যত হন, এবং মাতাকে নিবৃত্ত করিবার জন্য পিতা আদালত হইতে নিষেধাজ্ঞা প্রচার করান এবং ঐ নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও মাতা বিবাহ দেন, তাহা হইলেও ঐ বিবাহ অসিদ্ধ সাব্যস্ত হইবে नी ( २२ cषांशांशे ८०२ ) । C বিবাহে কি কি ক্রিয়। আবশ্যক। আদান-প্রদান, হোম এবং সপ্তপদীগমন-বিবাহে এই তিনটা ক্রিয় আবশ্বক। দৰ্ত্তকগ্রহণের স্তায় বিবাহেও সম্প্রদান ও গ্রহণ কাৰ্য্যতঃ