পাতা:হিন্দু আইন -বিভূতিভূষণ মিত্র.pdf/৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

38 হিন্দু আইন খরিবারের কোনও দায়িত্ব নাই। অভিভাবক যদি বলেন যে নাবালকের ভগ্নীর বিবাহের জন্য সম্পত্তি বিক্রয় করা প্রয়োজন, এবং ক্রেতা যদি তদন্ত করিয়া দেখেন যে নাবালকের এক অবিবাহিতা ভগ্নী আছে, এবং তাহার বিবাহ দিবার কথা হইতেছে, তাহা হইলেই তিনি নিরাপদ ; তাহার পর সম্পত্তি বিক্রয় করিয়৷ অভিভাবক ঐ টাকা নাবালকের ভগ্নীর বিবাহে ব্যয় করিতেছেন কি না তাহা দেখিতে খরিদদার বাধ্য নহেন ; এবং অভিভাবক যদি উক্ত টাকা আত্মসাৎ করেন, বা অন্য কোন কাৰ্য্যে ব্যয় করেন, তাহা হইলেও খরিদদারের আর কোন দায়িত্ব থাকিবে না (হনুমান প্রসাদ পাণ্ডে বঃ বাবুই, ৬ মুরস ইণ্ডিয়ান আপীলস্ ৩৯৩ ) । অভিভাবক যদি এই সকল আইনসঙ্গত প্রয়োজন ব্যতীত উক্তরূপ হস্তান্তর বা ঋণ করেন, তাহা হইলে নাবালক সাবালক হইয়া ঐ হস্তান্তর কাৰ্য্য রহিত করিতে পরিবেন । অভিভাবককৃত কোনও হস্তান্তর রহিত করিতে হইলে সাবালক হওয়ার পর তিন বৎসরের মধ্যে নালিশ করিতে হইবে ( তামাদি আইন, ৪৪ দফা ) । উপযুক্ত কারণ থাকিলে অভিভাবক আদালত কর্তৃক বিতাড়িত হইতে পারেন । মিতাক্ষর আইন অনুসারে কেহ নাবালকের সম্পত্তির অভিভাবক হইতে পারে না। কারণ, উক্ত আইনমতে পারিবারিক সম্পত্তিতে কাহারও কোন নিদিষ্ট অংশ নাই ; যতদিন পৰ্য্যস্ত বিভাগ না হয়, ততদিন সমস্ত সম্পত্তিটাই সকলেই যৌথরূপে ভোগ করিয়া থাকেন, কেহ বলিতে পারেন না যে, আমার অমুক অংশ আছে। সুতরাং নাবালকের কোন পৃথক সম্পত্তি নাই, এবং সেজন্য তাহার কোন অভিভাবকও থাকিতে পারে না (খাম কুয়ার ব: মহানন্দ, ১৯ কলিকাতা ৩-১ গৌর বঃ গজাধর, ৫ কলিঃ ২১৯ )। মিতাক্ষরার বিধানমতে, পরিবারের মধ্যে যিনি কৰ্ত্ত হন, তিনিই প্রকৃতপক্ষে নাবালকদেরও অভিভাবক, অপর