পাতা:হিন্দু আইন -বিভূতিভূষণ মিত্র.pdf/৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

छैद्देब्ण ፃፃ পরলোক গমন করেন, তাহা হইলে তাহার অংশ তাহার বিধবা পত্নী পাইবেন না, অপর ভ্রাতাগণ পাইবেন । ফলেও তাহ হইল। উইলকৰ্ত্তার মৃত্যুর পর তিন পুত্র সম্পত্তি ভোগ করিতে করিতে দ্বিতীয় পুত্ৰ নিঃসন্তান অবস্থায় বিধবা পত্নীকে রাখিয়া পরলোক গমন করিলেন। তখন অপর ভ্রাতাগণ উইল অনুসারে মৃত ভ্রাতার অংশ দাবী করিলেন। এদিকে বিধবা পত্নীও স্বামীর অংশ দাবী করিলেন ; দুই পক্ষে মোকদমা হইল এবং মোকদম প্রিভিকেন্সিল পর্য্যন্ত গড়াইল । প্রিভিকেন্সিল স্থির করিলেন ষে, বিধবা পত্নীই মৃত ব্যক্তির অংশ পাইবেন, তাহাব ভ্রাতাগণ পাইবেন না ; ঐ উইলের সর্ব অসিদ্ধ, কারণ হিন্দু আইন অনুসারে ভ্রাতা অপেক্ষা পত্নীই অগ্রগণ্য উত্তরাধিকারী, এবং উইলকর্তা পত্নীর পরিবর্তে ভ্রাতাকে সম্পত্তি দিবার আদেশ দিয়| উত্তরাধিকার সম্বন্ধে হিন্দু আইনের বিধানের উপর হস্তক্ষেপ করিয়াছেন ( নরেন্দ্র ব: কমলবাসিনী, ২৩ কলিকাতা ৫৬৩ ) । সেইজন্য, কোনও উইল করিবার সময়ে উইলকৰ্ত্তার খুব সাবধান হওয়া উচিত, যাহাতে উইলট বিশেষ জটিল হইয়া না দাড়ায় । উইলের সৰ্বগুলি যত সরল হইবে ততই নিরাপদ। উইলের সর্তগুলি জটিল হইলেই হয়তো আইনের কোনও না কোনও বিধানের উপর হস্তক্ষেপ করা হইবে, আর উইলট অসিদ্ধ হইয়া যাইবে । প্রসন্নকুমার ঠাকুর নিজে একজন আইনজ্ঞ ব্যক্তি ছিলেন ; এবং বহু আইনজ্ঞ বিচক্ষণ ব্যক্তির পরামর্শ লইয়া উইল করিয়াছিলেন, কিন্তু উইলট এমন জটিল করিয়া ফেলিলেন যে জটিলতা দোষেই উহা ব্যর্থ হইয়া গেল ; এমন কি, যে --উদেন্তে- তিনি উইল করিয়াছিলেন, প্রকৃতপক্ষে সেই উদ্দেশ্যই বিফল হইয়া গিয়াছিল। " Q দান সম্বন্ধে যেমন নিয়ম আছে যে, যে ব্যক্তি বৰ্ত্তমান আছেন তাহাকেই দান করিতে পারা যায়, য়ে ব্যক্তি জন্মায় নাই তাহাকে দান