পাতা:হিন্দুত্ব - চন্দ্রনাথ বসু.pdf/১৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R. হিন্দুত্ত্ব। হইবার জন্য, সাত্ত্বিক প্ৰকৃতি লাভ করিবার জন্য আহারে বিচার কত আবশ্যক ইহা যিনি কিছুমাত্র বুঝেন বা উপলব্ধি করিতে পারেন। তিনিই এরূপ শাসনের প্রয়োজনীয়তা মুক্তকণ্ঠে স্বীকার করিবেন। আহারের প্রথম উদ্দেশ্য দেহের পুষ্টিসাধন, দ্বিতীয় উদ্দেশ্য আত্মার শক্তিবৰ্দ্ধন। অতএব যে আহারে কেবল প্ৰথম উদ্দেশ্য । সাধিত श्श्न उाश्। মনুষ্যের পক্ষে নিকৃষ্ট আহার, যে আহারে কেবল দ্বিতীয় উদ্দেশ্য সাধিত হয় তাহাও নিকৃষ্ট আহার, যে আহারে উভয় উদ্দেশ্য সাধিত হয় তাহাঁই উৎকৃষ্ট বা উত্তম আহার। ইন্দ্ৰিয়াদি আত্মার সমস্ত শারীরিক বিস্ত্ৰ নষ্ট করিবার অভিপ্ৰায়ে যাহারা দিনান্তে একবার অথবা সপ্তাহে একবার বা দুইবার মাত্র অতি অল্প লঘু আহার দ্বারা দেহকে জীৰ্ণ শীর্ণ করিয়া ফেলেন, তঁহাদের আহারের উদ্দেশ্য কেবলমাত্ৰ আত্মার শক্তিবৰ্দ্ধন। সেরূপ আহারে আত্মার শক্তি প্রকৃতপক্ষে ত হয় কি না বলিতে পারি না। কিন্তু তদ্বারা, তাহাদের কৰ্ম্মক্ষমতা যে হ্রাস বা নষ্ট হইয়া যায় তাহ নিশ্চয় । মানবজীবনের কোন অবস্থায় সেরূপ আহার বিহিত বা হিতকর হইতে পারে কি না সে বিচার এ স্থলে নিম্প্রয়োজন। কারণ বিহিত বা হিতকর হইলেও যে অবস্থায় উহা বিহিত বা হিতকর হইতে পারে তাহ মানুয্যের সাধারণ অবস্থা নয়। অধিকন্তু গীতায় স্বয়ং শ্ৰীকৃষ্ণ কৰ্ম্মকে মনুয্যের বিশিষ্ট পথ বলিয়া নির্দিষ্ট করিয়াছেন এবং জ্ঞানমাৰ্গাবলম্বী যোগীর পক্ষেও যে কৰ্ম্ম অনাবশ্যক নয় তাহাও বলিয়া দিয়াছেন। অতএব যে আহার দেহকে জীৰ্ণ শীর্ণ শক্তিহীন করিয়া মনুষ্যকে কৰ্ম্ম