পাতা:হিন্দুত্ব - চন্দ্রনাথ বসু.pdf/১৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্ৰহ্মচৰ্য্য । S 4ዓ প্রকৃত ধৰ্ম্মশিক্ষা কাহাকে বলে তাহা বিবেচনা করিলে বোধ হয়। এ কথাও বলা যাইতে পারে যে স্কুলকালেজ প্ৰকৃত ধৰ্ম্মশিক্ষার স্থান নয়। দুই চারি খানা ধৰ্ম্মগ্রন্থ পড়িলে ধৰ্ম্মশিক্ষা হয় না। ধৰ্ম্মচৰ্য্যাই প্রকৃত ধৰ্ম্মশিক্ষা। গৃহ, ধৰ্ম্মচৰ্যার উৎকৃষ্ট স্থান। কিন্তু এখন গৃহে সন্তানের ধৰ্ম্মচৰ্য্যার প্রতি পিতা পিতৃব্যের মনোযোগ নাই। কাজেই এখন আত্মাৰু শিক্ষার অভাবে আমাদের শিক্ষা যার পর নাই অঙ্গহীন হইতেছে। শরীরের শিক্ষাও এখন হয় না বলিলেই হয়। পূর্বকালের ন্যায় এখন শিক্ষকের নিমিত্ত জল তুলিবার রীতি নাই, কেন না জল তুলিবার আবশ্যক নাই। আর বোধ হয়। ছাত্রের দ্বারা এক গেলাস জল আনাইয়া লইলে এখন শিক্ষককে পদচ্যুতই বা হইতে হয়। প্ৰত্যুষে শয্যাত্যাগ প্রভৃতি যে সকল স্বাস্থ্যকর নিয়ম পালন করা উচিত, তৎপ্ৰতি লোকের এখন বিশেষ মনোযোগ নাই। সন্ধ্যাহিকে আস্থা থাকিলে প্ৰকারান্তরে এই সকল নিয়মের প্রতি লোকের লক্ষ্য থাকিত। কিন্তু সে আস্থাও নাই, সে লক্ষ্যও নাই। হোমকাষ্ঠ আহরণার্থ পূৰ্ব্বকালে ছাত্রকে অনেক পথ হাঁটতে হইত এবং অন্য রকমেও শারীরিক পরিশ্রম করিতে হইত। এখন কেহ হোমও করে না, কেহ পথও হাটে না। স্কুলকলেজে যাইতে এবং স্কুলকালেজ হইতে বাটী আসিতে পথ হাঁটার প্রয়োজন। কিন্তু দেখিতে পাওয়া যায় যে কলিকাতায় লোকে গাড়ি পান্ধি করিয়া এবং হিন্দুস্থানী বেহারিার স্কন্ধে চাপাইয়া বালকদিগকে স্কুলকাম্বেজে পাঠাইতে আজি কাল কিছু বেশী ভালবান্বিতেছেন। এবং মফঃস্বলে গ্রামে গ্রামে স্কুল স্থাপন করিয়া