পাতা:হিন্দুত্ব - চন্দ্রনাথ বসু.pdf/৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8ኳ” "ክ श्मूिई আর একটি কথা। লয়। যেমন বহু সাধনা সাপেক্ষ যে ব্ৰহ্মজ্ঞান ব্যতীত লয় হয় না। সে ব্ৰহ্মজ্ঞানও তেমনি বহু অনুশীলনসাপেক্ষ। যাহা দেখিলে, যাহা বুঝিলে, যাহা অনুভব করিলে, ব্রহ্মের প্ৰতি অনুরাগ জন্মে তাহাই ব্ৰহ্মজ্ঞান অনুশীলনের উপায় । অতএব পদার্থবিদ্যা প্রাণিবিদ্যা প্ৰভৃতি যাহাতে সৃষ্টিকৌশল ব্যাখ্যাত হয়, বিশ্বনাথের বিপুল বিচিত্ৰ লীলা বর্ণিত হয়। সে সকলই লয়প্রার্থীর অনুশীলনের জিনিষ। আবার লয়ের পথে চলিতে গেলে কঠোর প্রণালীতে ব্ৰহ্মচারীর ন্যায় জীবন যাপন করিতে হয় বলিয়া, মায়ামোহ হইতে দুরে গমন করিতে হয় বলিয়া যে বিশ্বের সৌন্দৰ্য্য, কোমলতা, কমনীয়তা রমনীয়তা মাধুৰ্য্য ত্যাগ করিতে হয় তাহা নয়। ত্যাগ করা দূরে থাকুক, সে সকল নহিলে চলে না। বিশ্বের সৌন্দৰ্য্য, বিশ্বের মাধুৰী, বিশ্বের মধুময়ত ব্ৰহ্মভক্ত ব্ৰহ্মপিপাসু ব্ৰহ্মচারী যেমন অনুভব ক্লব্লিবেন আর কেহই তেমন করিবেন না, যে ভাবে উপলব্ধি করিবেন। আর কেহই সে ভাবে করিবেন না। ঋবিরচিত রামায়ণে,ভাগবতে, পুরাণে বিশ্বের শোভা সৌন্দর্ঘ্যের কি অপূর্ব সমাবেশ, কি পবিত্ৰ ধ্যান । আর ঋষি তপস্বীর তপোবনেই না বেশী ফুল ফুটে, বেশী মৃগমৃগী খেলাইয়া বেড়ায়, বেশী। কল্লোলিনীর কলকণ্ঠ শুনা যায়। প্ৰকৃত সৌন্দৰ্য্যে মোহ নাই, প্ৰকৃত সৌন্দৰ্য্য মানুষকে ব্ৰহ্ম ভুলায় না, প্ৰকৃত সৌন্দৰ্য্য মানুষকে ব্রহ্মেই মজাইয়া দেয়, কেননা ব্ৰহ্মই প্ৰকৃত সৌন্দৰ্য্য। ব্ৰহ্মচারী ভিন্ন আর কেহ বিশ্বের সৌন্দৰ্য্যে প্রকৃত সৌন্দৰ্য্য দেখিতে পায় নু। পরীক্ষা করিয়া দেখিও, একটু বেশী তলাইয়া দেখিও, দেখিবে যে যে ব্রহ্মচারী নয় তাহার সৌন্দর্যের ভিতর