পাতা:গল্পগুচ্ছ (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২১৭: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিসংকলন থেকে
JoyBot (আলোচনা | অবদান)
OCRed
 
আফতাব বট (আলোচনা | অবদান)
পাইউইকিবট স্পর্শ সম্পাদনা
(কোনও পার্থক্য নেই)

১৬:৪৩, ১১ জুলাই ২০১৮ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

३२४ গল্পগুচ্ছ একদিন সামান্য কারণে বিষ উদ্গীরিত হইয়া পড়িল। সীর কাছে পরমানন্দকে উল্লেখ করিয়া দশচরিত্র ভণ্ড বলিয়া গালি দিলেন এবং কহিলেন, "তোমার শালগ্রাম পশ করিয়া শপথপবেক বলো দেখি, সেই বকধামিককে তুমি মনে মনে ভালোবাস না।” দলিত ফণিনীর ন্যায় মহাতের মধ্যেই উদগ্র হইয়া মিথ্যা পধা বারা স্বামীকে বিদ্ধ করিয়া গৌরী রাধকণ্ঠে কহিল, "ভালোবাসি, তুমি কী করিতে চাও করো" পরেশ তৎক্ষণাৎ ঘরে তালাচাবি লাগাইয়া তাহাকে রন্ধ করিয়া আদালতে চলিয়া গেল। অসহ্য রোষে গৌরী কোনোমতে বার উন্মোচন করাইয়া তৎক্ষণাৎ বাড়ি হইতে বাহির হইয়া গেল। পরমানন্দ নিভৃত ঘরে জনহীন মধ্যাহ্নে শাস্ত্রপাঠ করিতেছিলেন। হঠাৎ অমেঘবাহিনী বিদ্যল্লেতার মতো গৌরী ব্রহমচারীর শাস্ত্ৰাধ্যয়নের মাঝখানে আসিয়া ভাঙিয়া পড়িল । গর কহিলেন, “এ কাঁ।” শিষ্য কহিল, “গরদেব, অপমানিত সংসার হইতে আমাকে উদ্ধার করিয়া লইয়া চলো, তোমার সেবারতে আমি জীবন উৎসগা করিব।” পরমানন্দ কঠোর ভৎসনা করিয়া গৌরীকে গহে ফিরিয়া পাঠাইলেন। কিন্তু, হয়। গরদেব, সেদিনকার সেই অকস্মাং ছিন্নবিচ্ছিন্ন অধ্যয়নসত্র আর কি তেমন করিয়া জোড়া লাগিতে পারিল। পরেশ গহে আসিয়া মন্তবার দেখিয়া সন্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করিলেন, “এখানে কে আসিয়াছিল।” মন্ত্ৰী কহিল, “কেহ আসে নাই, আমি গরে দেবের গহে গিয়াছিলাম।” পরেশ মহন্তকাল পাংশ এবং পরক্ষণেই রক্তবর্ণ হইয়া কহিলেন, “কেন গিয়াছিলে।" গৌরী কহিল, “আমার খশি।" সেদিন হইতে পাহারা বসাইয়া সীকে ঘরে রাধ করিয়া পরেশ এমনি উপদ্রব আরম্ভ করিলেন যে, শহরময় কুৎসা রটিয়া গেল। এই-সকল কুৎসিত অপমান ও অত্যাচারের সংবাদে পরমানন্দের হরিচিন্তা দর হইয়া গেল। এই নগর অবিলম্বে পরিত্যাগ করা তিনি কতব্য বোধ করিলেন অথচ উৎপীড়িতকে ফেলিয়া কোনোমতেই দরে যাইতে পারিলেন না। সন্ন্যাসীর এই কয়দিনকার দিনরাত্রের ইতিহাস কেবল অন্তযর্ণমাই জানেন। অবশেষে অবরোধের মধ্যে থাকিয়া গৌরী একদিন পত্র পাইল, “বংসে, আলোচনা করিয়া দেখিলাম, ইতিপবে অনেক সাধনী সাধকরমণী কৃষ্ণপ্রেমে সংসার ত্যাগ করিয়াছেন। যদি সংসারের অত্যাচারে হরিপাদপদ্ম হইতে তোমার চিত্ত বিক্ষিপ্ত প্রভূব অভয় পদারবিন্দে উৎসগা করিতে প্রয়াসী হইব। ২৬শে ফাল্গন বুধবারে অপরাহ্ল ২ ঘটিকার সময় ইচ্ছা করিলে তোমাদের পকেরিণীতীরে আমার সহিত সাক্ষাৎ হইতে পারবে ।” গৌরী পত্ৰখানি কেশে বধিয়া খোঁপার মধ্যে ঢাকিয়া রাখিল। ২৬শে ফাল্গন