পাতা:সুকুমার রায় রচনাবলী-প্রথম খণ্ড.djvu/৪৩: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিসংকলন থেকে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
Kaushik sur (আলোচনা | অবদান)
পাতার অবস্থাপাতার অবস্থা
-
মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে
+
বৈধকরণ
পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):
৯ নং লাইন: ৯ নং লাইন:
এটা চাই সেটা চাই কত তার বায়না—
এটা চাই সেটা চাই কত তার বায়না—
কি যে চায় তাও ছাই বোঝা কিছু যায় না।
কি যে চায় তাও ছাই বোঝা কিছু যায় না।
কোকিলের মত তার কন্ঠেতে সুর চাই,
কোকিলের মতো তার কণ্ঠেতে সুর চাই,
গলা শুনে আপনার বলে, ‘উঁহুঁ, দূর ছাই!’
গলা শুনে আপনার বলে, ‘উঁহুঁ, দূর ছাই!’
আকাশেতে উড়ে যেতে পাখিদের মানা নেই,
আকাশেতে উড়ে যেতে পাখিদের মানা নেই,
তাই দেখে মরে কেঁদে— তার কোন ডানা নেই!
তাই দেখে মরে কেঁদে— তার কোন ডানা নেই!
হাতিটার কী বাহার দাঁতে আর শুন্ডে—
হাতিটার কী বাহার দাঁতে আর শুণ্ডে—
ওরকম জুড়ে তার দিতে হবে মুন্ডে!
ওরকম জুড়ে তার দিতে হবে মুণ্ডে!
ক্যাঙ্গারুর লাফ দেখে ভারি তার হিংসে—
ক্যাঙ্গারুর লাফ দেখে ভারি তার হিংসে—
ঠ্যাং চাই আজ থেকে ঢ্যাংঢেঙে চিম্‌সে!
ঠ্যাং চাই আজ থেকে ঢ্যাংঢেঙে চিম্‌সে!
সিংহের কেশরের মতো তার তেজ কই?
সিংহের কেশরের মতো তার তেজ কই?
পিছে খাসা গোসাপের খাঁজকাটা লেজ কৈ?
পিছে খাসা গোসাপের খাঁজকাটা লেজ কৈ?
একলা সে সব হ’ল মেটে তার পাখ্‌না;
একলা সে সব হ’লে মেটে তার প্যাখ্না;
যারে পায় তারে বলে, “মোর দশা দেখ্ না!”</poem><noinclude>{{dhr|20em}}</noinclude><noinclude>{{TwoColumns}}</noinclude><noinclude>{{dhr|10em}}</noinclude>
যারে পায় তারে বলে, “মোর দশা দেখ্ না!”</poem><noinclude>{{dhr|20em}}</noinclude><noinclude>{{TwoColumns}}</noinclude><noinclude>{{dhr|10em}}</noinclude>
<poem>কেদেঁ কেদেঁ শেষটায়— আষাঢ়ের বাইশে—
<poem>কেদেঁ কেদেঁ শেষটায়— আষাঢ়ের বাইশে—
হ’ল বিনা চেষ্টায় চেয়েছে যা তাই সে।
হ’ল বিনা চেষ্টায় চেয়েছে যা তাই সে।
ভুলে গিয়ে কাঁদাকাটি আহ্লাদে আবেশে
ভুলে গিয়ে কাঁদাকাটি আহ্লাদে আবেশে
চুপিচুপি একলাটি ব’সে ব’সে ভাবে সে—
চুপি চুপি একলাটি ব’সে ব’সে ভাবে সে—
লাফ দিয়ে হুশ্ করে হাতি কভু নাচে কি?
লাফ দিয়ে হুশ্ করে হাতি কভু নাচে কি?
কলাগাছ খেলে পরে ক্যাঙ্গারুটা বাঁচে কি?
কলাগাছ খেলে পরে ক্যাঙ্গারুটা বাঁচে কি?
৩০ নং লাইন: ৩০ নং লাইন:
এই দেহে শুঁড়ো নাক খাপছাড়া হবে কি?
এই দেহে শুঁড়ো নাক খাপছাড়া হবে কি?
‘বুড়ো হাতি ওড়ে’ ব’লে কেউ যদি গালি দেয়?
‘বুড়ো হাতি ওড়ে’ ব’লে কেউ যদি গালি দেয়?
কান টেনে ল্যাজ্‌ মলে ‘দুয়ো’ ব’লে তালি দেয়?
কান টেনে ল্যাজ্‌ ম'লে ‘দুয়ো’ ব’লে তালি দেয়?
কেউ যদি তেড়েমেরে বলে তার সামনেই—
কেউ যদি তেড়েমেড়ে বলে তার সামনেই—
‘কোথাকার তুই কেরে, নাম নেই ধাম নেই?’
‘কোথাকার তুই কেরে, নাম নেই ধাম নেই?’
জবাব কি দেবে ছাই, আছে কিছু বল্‌বার?
জবাব কি দেবে ছাই, আছে কিছু বল্‌বার?
কাচুঁমাচুঁ ব’সে তাই, মনে শুধু তোলপাড়—
কাচুঁমাচু ব’সে তাই, মনে শুধু তোলপাড়—
‘নই ঘোড়া, নই হাতি, নই সাপ বিচ্ছু,
‘নই ঘোড়া, নই হাতি, নই সাপ বিচ্ছু,
মৌমাছি প্রজাপতি নই আমি কিচ্ছু।
মৌমাছি প্রজাপতি নই আমি কিচ্ছু।

০৪:৩১, ৯ এপ্রিল ২০১৭ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।

কিম্ভূত

বিদঘুটে জানোয়ার কিমাকার কিম্ভূত,
সারাদিন ধ’রে তার শুনি শুধু খুঁতখুঁত।
মাঠপারে ঘাটপারে কেঁদে মরে খালি সে,
ঘ্যান্ ঘ্যান্‌ আব্‌দারে ঘন ঘন নালিশে।
এটা চাই সেটা চাই কত তার বায়না—
কি যে চায় তাও ছাই বোঝা কিছু যায় না।
কোকিলের মতো তার কণ্ঠেতে সুর চাই,
গলা শুনে আপনার বলে, ‘উঁহুঁ, দূর ছাই!’
আকাশেতে উড়ে যেতে পাখিদের মানা নেই,
তাই দেখে মরে কেঁদে— তার কোন ডানা নেই!
হাতিটার কী বাহার দাঁতে আর শুণ্ডে—
ওরকম জুড়ে তার দিতে হবে মুণ্ডে!
ক্যাঙ্গারুর লাফ দেখে ভারি তার হিংসে—
ঠ্যাং চাই আজ থেকে ঢ্যাংঢেঙে চিম্‌সে!
সিংহের কেশরের মতো তার তেজ কই?
পিছে খাসা গোসাপের খাঁজকাটা লেজ কৈ?
একলা সে সব হ’লে মেটে তার প্যাখ্না;
যারে পায় তারে বলে, “মোর দশা দেখ্ না!”

কেদেঁ কেদেঁ শেষটায়— আষাঢ়ের বাইশে—
হ’ল বিনা চেষ্টায় চেয়েছে যা তাই সে।
ভুলে গিয়ে কাঁদাকাটি আহ্লাদে আবেশে
চুপি চুপি একলাটি ব’সে ব’সে ভাবে সে—
লাফ দিয়ে হুশ্ করে হাতি কভু নাচে কি?
কলাগাছ খেলে পরে ক্যাঙ্গারুটা বাঁচে কি?
ভোঁতামুখে কুহুডাক শুনে লোকে কবে কী?
এই দেহে শুঁড়ো নাক খাপছাড়া হবে কি?
‘বুড়ো হাতি ওড়ে’ ব’লে কেউ যদি গালি দেয়?
কান টেনে ল্যাজ্‌ ম'লে ‘দুয়ো’ ব’লে তালি দেয়?
কেউ যদি তেড়েমেড়ে বলে তার সামনেই—
‘কোথাকার তুই কেরে, নাম নেই ধাম নেই?’
জবাব কি দেবে ছাই, আছে কিছু বল্‌বার?
কাচুঁমাচু ব’সে তাই, মনে শুধু তোলপাড়—
‘নই ঘোড়া, নই হাতি, নই সাপ বিচ্ছু,
মৌমাছি প্রজাপতি নই আমি কিচ্ছু।
মাছ ব্যাঙ গাছপাতা জলমাটি ঢেউ নই,
নই জুতা নই ছাতা, আমি তবে কেউ নই!’

৩৮
সুকুমার সমগ্র রচনাবলী