পাতা:বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয় (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পদাবলী – বলরাম দাস—১৬-১৭শ শতাব্দী। bo Jeసి আপন শপথি করি হাত দিয়া মাথে । শুধুই শরীর মোর প্রাণ তোমার হাতে। বঁধু হে তোমারে বুঝাই ত সবাই। আমি তোমার প্রাণ-বধু তেঞি জীতে চাই । নিরবধি তোমা লাগি দগধে পরাণ । তিলেক দাড়াও কাছে জুড়াক নয়ান ॥ কি লাগি দারুণ-চিত কান্দে দিন রাতি । কহে বলরাম বড় বিষম পারিতি ॥ জালিয়া উজ্জল বাতি জাগি পোহাইল রাতি তিল নাহি যায় পিয়া ঘুমে। ঘন ঘন করে কোলে ক্ষণ করে উতরোলে তিলে শতবার মুথ চুমে ॥ ক্ষণে বুকে ক্ষণে পিঠে ক্ষণে রাখে দিঠে দিঠে হিয়া হৈতে - শেষে না শোয়ায় । দরিদ্রের ধন হেন রাখিতে না পায় স্থান অঙ্গে অঙ্গে সদাই ফিরায় ॥ ধরিয়া দুখানি হাতে কখন ধরয়ে মাথে ক্ষণে ধরে হিয়ার উপরে। ক্ষণে পুলকিত হয় ক্ষণে আখি মুদি রয় বলরাম কি কহিতে পারে। চন্দন মাথায় গায় দেয় বসনের বায় (১) নিজ করে তাম্বুল খাওয়ায়। বিনি কাযে কত পুছে কত না মুখানি মোছে হেন বাসে দেখিতে হারায় (২) ॥ তুমি মোর প্রাণধন তোমা বিনে নাহি আন কহে পিয়া গদগদ ভাষে। যতেক পারিতি তার জগতে কি আছে আর কি বলিবে বলরাম দাসে ॥ সই নিরবধি কত পড়ে মনে । হাম-বধু বিনু না রহে মোর তন্তু সোয়াস্তি নাহিক রাতি দিনে। ধরিয়া আমার করে বৈসায় আপন কোরে পুন দেই সিথায় সিন্দুর। তাম্বুল সাজাঞ তোলে খাও খাও কত বোলে কত গুণ কহিব বঁধুর। ঝাড়িএ বান্ধয়ে চুল বেড়িয়া মালতী-ফুল বসন পরাইয়া আমা দেখে। দেখিয়া আমার মুখ না জানি-কি পায় স্থখ রসের আবেশে করে বুকে ॥ (১) বস্ত্র-দ্বারা ব্যজন করে। (২) হেন বাসে = এরূপ মনে করে। দেখিতে হারায় =চক্ষের পলকে পাছে হারাইয়া যায়।